প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম জনাব: আমাদের মহল্লাতে একজন মহিলা তার নিজ বাসায় পর্দাসহ মহিলাদের জন্য তালীমের ব্যবস্থা করে থাকেন প্রতি মাসেই। এখানে অনেক মহিলারা আসেন, অন্যান্য মহল্লা থেকেও আসেন ৷আর একজন মহিলা উচ্চ আওয়াজে ওয়াজ করেন ৷ প্রশ্ন (১) এখানে যারা ওয়াজ/তালীম শুনতে আসেন তাদের আসা কি জায়েয? তারা মাহরাম ব্যতীত আসে ! (২) যে মহিলা ওয়াজ করে থাকেন তিনি উচ্চস্বরে ওয়াজ করেন সুরদিয়ে এটা কি জায়েয? উত্তর একটু দ্রুত মেইল করলে খুবি উপকার হত!
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। মহিলাদের জন্য দীন শিক্ষা করার সর্বোত্তম পদ্ধতি হল ঘরের পুরুষেরা দীন শিক্ষা করে নারীদেরকে শিখাবে। তবে পুরুষেরা কর্মব্যস্ততা বা অজ্ঞতার কারনে এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে আশপাশের মহিলাদের থেকে কুরআনে কারীমসহ জরুরী দ্বীনী মাসায়েল শিক্ষা করবে। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত মহিলা যদি পর্দার সাথে সহীহ দ্বীনী তালীম দিয়ে থাকেন এবং মহিলাদের সেখানে যেতে কোন ফেতনার আশঙ্কা না থাকে তবে যাওয়া যেতে পারে। তবে কোন মহিলা যদি অনেক দূর থেকে (৪৮ মাইল বা তার বেশী দুরুত্তে) মাহরাম ব্যতীত আসে অথবা নিকট থেকেই আসে কিন্তু ফেতনার আশঙ্কা থাকে তবে জায়েয হবে না।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১০৮৬; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ২৯৪১
২। যদি তিনি ঘরোয়া পরিবেশে উচ্চস্বরে এমনভাবে ওয়াজ করেন যে, বাইরে আওয়াজ না যায় এবং কোন গাইরে মাহরাম পুরুষ শুনতে পায় না তবে কোন সমস্যা নেই। অন্যথায় তা নাজায়েয ও শরীআত গর্হিত কাজ বলে বিবেচিত হবে। আর রইল সূরের প্রসঙ্গ তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো সূর দিয়ে ওয়াজ করেননি। বরং হাদীস শরীফে আছে তিনি যখন ওয়াজ নসীহত করতেন তার চেহারায় এমন ভাব প্রকাশ পেত কেমন যেন তিনি কোন সৈন্যদলকে ভীতি প্রদর্শন করছেন। তবে কেউ সূর দিয়ে ওয়াজ করলে নাজায়েয হবে না তবে এটা যে আল্লাহর রাসূল, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন এবং তাবে তাবেঈনের তরীকা পরিপন্থী এতে কোন সন্দেহ নেই।–সূরা আহযাব, আয়াত ৩২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২০২৪