প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১। জামে মসজিদ বলতে কোন সব মসজিদকে বুঝানো হয়? জামে মসজিদে ইমাম সাহেব জামাতের সাথে নামায শেষ করার পর যারা জামাতে শরীক হতে পারেনি তারা কি নতুন করে জামাত তৈরী করে নামায আদায় করতে পারবে? ২। সকাল বিকাল যে তিন তসবীহ আদায় করতে হয় সকালের তসবীহ আদায়ের সময় শুরু হয় কখন এবং শেষ হয় কখন? আর বিকালের তসবীহ আদায়ের সময় শুরু হয় কখন এবং শেষ হয় কখন? ৩। তিন তসবীহ কি একটানা আদায় করতে হবে? নাকি এক তসবীহ আদায় করার পর কিছু সময় অপেক্ষা করলাম পরে অন্য তসবীহগুলো আদায় করলাম তাহলে কি সমস্যা হবে? ৪। আর প্রত্যেক তসবীহ তো ১০০ বার পাঠ করতে হয় আমি কোনো তসবীহ ৫০ বার পাঠ করার পর কিছু সময় দেরী করে উক্ত তসবীহটির বাকী ৫০ বার পাঠ করলাম তাহলে কি সমস্যা হবে? ৫। মোবাইল ফোনে দরকারী কোনো ফটো রাখলে গুনাহ হবে কি? যেমন কোনো চাকরির দরখাস্তের জন্য, কিংবা কোনো জায়গায় ভর্তির জন্য।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমস সালাম
১। জামে মসজিদ হল ঐ ওয়াকফকৃত মসজিদ যেখানে জুমুআর নামায আদায় করা হয়।
আর জামে মসজিদে জামাআত হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় জামাআত করা মাকরূহে তাহরীমী। তবে মসজিদ যদি নির্দিষ্ট কোন মহল্লায় অবস্থিত না হয় বরং রাস্তা-ঘাটের পাশে অথবা হাট-বাজারের মসজিদ হয় যার ইমাম মুআজ্জিন মুসল্লী নির্ধারিত নেই অথবা মসজিদটি কোন মহল্লায় অবস্থিত বটে কিন্তু প্রথম জামাআত অন্য মহল্লার লোকেরা করেছে অথবা মহল্লাবাসিই প্রথম জামাআত করেছে কিন্তু আযান ছাড়াই করেছে, সেক্ষেত্রে উপরোল্লিখিত তিন সূরতে দ্বিতীয় জামাআত করা জায়েয।–আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৫২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮৩; মিরকাতুল মাফাতীহ ৩/২৪৫ (শামেলা)
২। উক্ত তাসবীহগুলোর ফজীলাত হাদীস শরীফে সকাল সন্ধ্যায় এসেছে। সকালের তাসবীহ আদায়ের উত্তম সময় হল সুবহে সাদেক থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত। তবে কেউ দ্বিপ্রহরের পূর্বে পড়লেও ছাওয়াব পেয়ে যাবে ইংশাআল্লাহ। আর সন্ধ্যার তাসবীহের সময় হল মাগরিব থেকে নিয়ে ফজরের পূর্ব পর্যন্ত। ব্যস্ততার কারনে কেউ মাগরিবের পূর্বে আদায় করলেও ছাওয়াব পেয়ে যাবে ইংশাআল্লাহ।- সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৩৪৭১; সুনানে নাসাঈ আলকুবরা, হাদীস নং ১০৬৫৭, ১০২৭৫; তাবারানী, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং ৩৭৩৭; আল ইস্তিযকার ১/২৩; মিরকাতুল মাফাতীহ ৮/২৬৩ (শামেলা); আউনুল মাবূদ ১৩/২৮৩ (শামেলা)
৩। হ্যাঁ, এক তাসবীহ আদায় করে বিরতি দেওয়া যাবে।
৪। না, সমস্যা হবে না।
৫। একান্ত প্রয়োজনে রাখা যেতে পারে।