প্রশ্ন : (১) মৃত ব্যাক্তির জন্য সত্তর হাজার বার কালেমা শরীফ পড়ার তরতীব কি? যদি হিসাব করে দেখি যে ৪ মিনিটে ১০০ বার পড়া যায়, তাহলে হাতে না গুনে ৪ মিনিট পড়ে ১০০ বার হিসাব করা যাবে? সফর অবস্থায় পড়া যাবে কি? (২) এক হাতে মোসাহাফা করা যাবে কি? (৩) ছাত্র অবস্থায় জনৈক শিক্ষকের কাছে ৫০০ টাকা মাসিক চুক্তিতে পড়েছি, মাসের অর্ধেক পড়ে চলে এসেছি, বদলি হয়ে যাবার কারনে উক্ত শিক্ষকের কোন হদিস পাচ্ছিনা, প্রশ্ন হচ্ছে উক্ত শিক্ষক আমার কাছে পুরো মাসের টিউশন পান নাকি অর্ধ মাসের? যাই পান তাঁকে খুঁজে না পাবার কারনে আমার করনীয় কি?
উত্তর :১। যেভাবে সুবিধা হয় পড়তে পারেন, ধরাবাঁধা কোন নিয়ম নেই। এটা যে কোন সময় পড়া যায়। অর্থাৎ এক জায়গায় বসে পড়তে হবে এমন নয়। বরং চলতে ফিরতে বা সফররত অবস্থায়ও পড়া যায়। তবে বুজুর্গানে দ্বীন যেহেতু অভিজ্ঞতার আলোকে সত্তর হাজার বারের কথা কথা উল্লেখ করেছেন তাই সংখ্যার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য যে, এটা বুজুর্গদের অভিজ্ঞতা মাত্র। বেশী থেকে বেশী এটাকে শর্তসাপেক্ষে জায়েয বলা যেতে পারে। কেউ যদি জরূরী, সুন্নাত বা মুস্তাহাব মনে না করে পড়ে তবে জায়েয। কেননা মূল কালেমা তো খুবই অর্থবহ। আর তা পাঠ করাতে হাদীস শরীফে অনেক বড় ছাওয়াব প্রদানের ওয়াদাও রয়েছে। কাজেই কেউ যদি তা বেশ কিছু সংখ্যক বার পড়ে ফেলে তবে তো সে ছাওয়াবের একটা বড় অংশ পেয়েই যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। হ্যাঁ, সুন্নাত মনে করে পড়লে তা বিদআত হবে।
২। মুসাফাহা দুই হাতে করা সুন্নাত। “মুসাফাহা দুই হাতে করতে হবে” এই শিরনামে ইমাম বুখারী (রহঃ) স্বতন্ত্র একটি অধ্যায় কায়েম করেছেন। আর বলেছেন হাম্মাদ বিন যায়েদ আব্দুল্লাহ বিন মুবারকের সাথে দুই হাতে মুসাফাহা করেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) বলেন-
عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَفِّي بَيْنَ كَفَّيْهِ التَّشَهُّدَ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে তাশাহহুদ শিখিয়েছেন। আর তখন (মুসাফাহা করতঃ) আমার হাত তার দুই হাতের মাঝখানে ছিল।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৬২৬৫
৩। এক্ষেত্রে তিনি আপনার নিকট অর্ধ মাসের তথা ২৫০ টাকা পারিশ্রমিক পাবেন। আপনি তাকে খুঁজে বের করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন। তাকে না পেলে তার কোন ওয়ারিশের সন্ধান করবেন। কোন ওয়ারিশ পেয়ে গেলে তাকে তা বুঝিয়ে দিবেন। অন্যথায় উক্ত টাকা আপনার শিক্ষককে ছাওয়াব পৌঁছানোর নিয়তে কোন গরীবকে সদকাহ করে দিবেন।–রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৫; আল বাহরুর রায়েক ৮/৩৫৯