প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১। ছেলে তার বাবার দেয়া দুটি ফ্ল্যাটের একটিতে বাস করে, অন্যটি ভাড়া দেয়। যার এখন মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। ছেলে মাঝারি ধরনের চাকরি করে এবং ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে সংসার চালায়। মাস শেষে সঞ্চয় হয় না। গত সতের বছরে এইভাবে হালাল ইনকামের সঞ্চয় দুই/তিন লাখ টাকা হবে। যা কম-বেশি হয়। উনার যাকাত-ফিতরা-কোরবানী-হজ্জ্বের হুকুম কি? ২। যদি এই ছেলের শেয়ারে দুই/তিন লাখ টাকা খাটানো থাকত যা লসে থাকার কারণে বিক্রি করতে পারত না। তাহলে উপরোক্ত বিষয়ে হুকুম কি হত? ৩। যদি ছেলের হাতে দামি মোবাইল, ঘরে দামি টিভি, ফ্রিজ থাকে, বাবার বা অফিসের গাড়িতে চলাচল করে, ছেলে-মেয়েকে দামি স্কুলে পড়ায়, তাহলে উপরোক্ত বিষয়ে কি হুকুম হবে? ৪। কোন ব্যক্তির সঞ্চয় খুব ভালো, কিন্তু ভাড়া বাড়িতে থাকে, গাড়ি দরকার কিন্তু নেই, ঘরে ভালো ফার্নিচার বা আসবাবপত্র নেই। এই ব্যক্তি আগে হজ করবে নাকি উপরোক্ত প্রয়োজন মিটাবে।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১+৩। উনার বলতে কার? বাবার নাকি ছেলের? প্রশ্ন থেকে মনে হয় ছেলের অবস্থা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। যাই হোক, উক্ত দুই/তিন লক্ষ টাকার যিনি মালিক তার উপর যাকাত, ফিতরা ও কোরবানী ওয়াজিব হবে। আর ছেলের নিকট দামি মোবাইল, ফ্রিজ ইত্যাদি থাকার কারনে হুকুমে কোন তারতম্য আসবে না। অর্থাৎ যিনি উক্ত টাকার মালিক তার উপর যাকাত, ফিতরা ও কোরবানী ওয়াজিব হবে। আর যদি ছেলের নিকট এ পরিমান সম্পদ থাকে যে, সে এর দ্বারা মধ্যম মানের যানবাহন ও থাকা খাওয়ার ব্যয় নির্বাহ করতঃ মক্কা মুকাররামা গিয়ে হজ্জ কার্য সম্পাদন করে ফিরে আসতে পারবে এবং তার পরিবারের অবস্থা অনুযায়ী মধ্যম মানের ভরন পোষণের খরচও দিয়ে যেতে পারবে তবে তার উপর হজ্জ ফরজ হবে।– রদ্দুল মুহতার ২/৪৫৯-৪৬৩; বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬
২। প্রশ্নটি আমি বুঝিনি। স্পষ্ট করে বুঝিয়ে লিখুন। লসে থাকার কারণে কি জিনিস বিক্রি করতে পারবে না?
৪। আগে হজ করবে। কেননা প্রশ্নে যে সকল প্রয়োজনের কথা লিখা হয়েছে সবগুলো প্রয়োজন অতিরিক্ত নিত্য প্রয়োজনীয় নয়। অর্থাৎ এগুলো ছাড়াও তার সংসার চলে যাচ্ছে।–বাদায়েউস সানায়ে ৩/৫২; আল লুবাব ফি শারহিল কিতাব ১/১৬৪