প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। হযরত আমার প্রশ্নঃ ১। আমাদের বাড়ীর পাশে একটি মহিলা মাদ্রাসা আছে আমি সেখানে আমার স্ত্রীকে ভর্তি করিয়ে দ্বীনি শিক্ষা দিতে পারবো কি? ২। আমার স্ত্রীর বাবার বাড়ী থেকে মাদ্রাসা মাত্র ১ মিনিটের রাস্তা এবং আমাদের বাড়ী থেকে ৮-১০ মিনিটের রাস্তা তাই এইটুকু পথ সে একা আসা যাওয়া করে পড়লে কোন ক্ষতি হবে কি? ৩। আমাকে অনেকে বলেন স্ত্রীকে মাদ্রাসায় পড়ালে সে অনেক চালু হয়ে যাবে। আমার বিভিন্ন দ্বীনী কাজে ভুল ধরবে। সে জানবে শশুর শাশুড়ীর খেদমত তার জন্য জরুরী নয় এই ধরণে আরো অনেক বিষয় আছে যা মহিলারা জানেনা ফলে পুরুষদের জন্য সুবিধা হয়। এখন মাদ্রাসায় এলেম শিখলে এগুলো জানলে পরে অসুবিধা হয়। তাই কি করবো বুঝতে পারছি না। আমার এ বিষয়ে মোটেই কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবে অনেক সময় মেয়েরা পূর্ণ পর্দা করে যখন মাদ্রাসায় যায় দেখে খুব ভালো লাগে। কিন্তু ভিতরে তারা কেমন তা আমার জানা নেই। কারণ আমাদের বংশে এমন পূর্ণ পর্দাশীলা মহিলা নেই। যেহেতু আপনার পরিবার আশা করি পূর্ণ পর্দাশীল এবং আপনা অন্যান্য পরিবার সম্পর্কেও ধারণা আছে তাই মেহেরবানী করে মহব্বতের সাথে নিজের আপন জন মনে করে উত্তর দিলে খুব খুশী হবো। আল্লাহ তায়ালা আপনার কষ্টের উত্তম প্রতিদান দুনিয়া ও আখেরাতে উভয় জাহানে সর্বোত্তম ভাবে দান করুন। আমীন।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১+২। অবশ্যই ভর্তি করতে পারবেন। যদি তার একাকী আসা যাওয়াতে কোন ফেতনার আশংকা না থাকে তবে যেতে পারে।
৩। সম্পূর্ণ ফালতু কথা। আর দীনী কাজে ভুল ধরলে তা তো প্রশংসনীয়। যেমন কোন নাজায়েয কাজ দেখে তা আপনাকে করতে নিষেধ করল। মেয়েরা ইলম শিখলে ছেলেদের অসুবিধা হয় এটা তো একটি জঘন্যতম কুফরী আকীদাহ। অথচ শরীআত বলছে মেয়েদের জন্যও ইলম শিক্ষা করা ফরজ। কুরআন ও হাদীসের জ্ঞান মানুষের মধ্যে যত বাড়তে থাকে তার আখলাক তত সুন্দর হতে থাকে। আর কাফেরদের প্রণীত সিলেবাসের জ্ঞান যত বাড়তে থাকে মানুষের মধ্যে তত আখেরাতের প্রতি অনীহা বাড়তে থাকে। তাই আপনি নিশ্চিন্তে আপনার স্ত্রীকে সেখানে ভর্তি করতে পারেন যদি সেখানে পরিবেশগত কোন সমস্যা না থেকে থাকে।

Loading