প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হযরত আমার প্রশ্ন গুলো হলো:- ১/হযরত অন্তরে নিয়ত করলাম কাউকে টাকা বা কিছু দান করবো কিন্তু দেখা গেলো যাকে দিবো বা যেখানে দিবো তারচেয়ে অন্য আর একজন অধিক মুখাপেক্ষী। তখন কি এই টাকা বা কিছু জিনিস অন্যকে দেওয়া যাবে নাকি প্রথমে যাকে দিবো নিয়ত করেছি তাকেই দিতে হবে? ২/হযরত নামায যদি জামাআতে এক রাকাআত/দুই রাকাআত না পাই তাহলে কি ইমাম সালাম ফিরানোর পর স্বাভাবিক দুই রাকাআত যেভাবে পড়তাম সুরা মিলিয়ে সানা পড়ে সেভাবে পড়বো? আর বৈঠকের ক্ষেত্রে কি দুই রাকাআত শেষে বৈঠক করব নাকি এক রাকাআতের পর? ৩/হযরত আমার আর একটা প্রশ্ন হলো আমার ডান দিকে বেশী নামায পড়তে ভালো লাগে, মসজিদ তো আল্লাহ ঘড় পুরোটাই! এই যে বাম দিকে আমি কম পড়তে চাই এতে আমার গুনাহ হবে? মানে আমি প্রায় ডান দিক বেশী প্রাধান্য দেই মসজিদে? এই যে এক দিকে বেশী থাকা এটা কোনো আদবের বরখেলাফ হবে? জাযাকাল্লাহু খায়রন ফিদ দারাইন।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। কাউকে কোন কিছু দেওয়ার নিয়ত করলে তাকে তা দেওয়া জরুরী নয়। তাই উক্ত টাকা আপনি যাকে ইচ্ছা দিতে পারেন।
২। কেউ ইমামের সাথে প্রথম রাকাআত না পেলে ইমামের সালাম ফিরানোর পর দাড়িয়ে সূরা ফাতেহা পড়ে এর সাথে অন্য কোন সূরা মিলিয়ে যথানিয়মে বৈঠক করে নামায শেষ করবে। আর যদি দুই রাকাআত না পায় তবে ইমামের সালাম ফিরানোর পর দাড়িয়ে সূরা ফাতেহা পড়ে এর সাথে অন্য কোন সূরা মিলিয়ে রুকূ সিজদাহ করে পুনরায় দাড়িয়ে যাবে(যদি মাগরিবের নামায না হয়)। অতঃপর সূরা ফাতেহা পড়ে এর সাথে অন্য কোন সূরা মিলিয়ে যথানিয়মে বৈঠক করে নামায শেষ করবে।–আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৯৬,৫৯৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৯১
৩। সুন্নাত হল মুসল্লী কাতারের চাহিদা অনুযায়ী দাঁড়াবে। যদি ডান দিকে লোক কম থাকে তবে ডানে দাঁড়াবে। আর বামে লোক কম থাকলে বামে দাঁড়াবে। বামে লোক কম থাকা সত্ত্বেও ডান পাশে দাঁড়ানো খেলাফে সুন্নাত এবং মাকরূহ।–রদ্দুল মুহতার ১/৫৬৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮৯; ফাতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৩/২৪১