প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। হযরত আমাদের কাছাকাছি একটি সরকারী ভালো প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে মেয়েদের ফ্রী পার্লারের কাজ শেখায়। আমার স্ত্রী এমনিতেও বাড়িতে মাঝে মাঝে অনেককে হাতে মেহেদি দিয়ে এবং সাধারণ ভাবে সাজিয়ে দুই চারশ টাকা উপার্জন করে। এখন সে ঐ সরকারী প্রতিষ্ঠানে পার্লারে কাজ শিখতে চায়। সে পার্লারে কাজ শেখার পর বাড়ীতে হালকা পাতলা সাজানোর কাজ করে কিছুটা উপার্জন করতে চায়। আর যেগুলো নাযায়েয তা করবে না বলেছে। এখন কি করণীয়? তাকে কাজ শিখাবো কি? আর শিখালে ভবিষ্যতে যদি সে নাজায়েয কোন কাজ করে তবে আমার গুনাহ হবে কি? জানালে উপকৃত হবো। জাযাকাল্লাহু খায়রান।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
সাজগোজকে স্বতন্ত্রভাবে পেশা হিসেবে গ্রহন করা এবং এর পিছনে পড়ে থাকা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে পছন্দনীয় নয়। আর এগুলোর কারনে ফেতনা ফাসাদ বাড়তেই থাকে। যারা সাধারণত পার্লারে গিয়ে সাজসজ্জা করে তাদের অধিকাংশই বৈধ স্থানে এই সৌন্দর্য প্রকাশ করেন না। যার কারনে বেপর্দা বাড়তে থাকে। তাছাড়া সাজসজ্জা এমন কি বিষয় যে এর জন্য পয়সা খরচ করে তা অন্যের দ্বারা করিয়ে নিতে হবে। হ্যাঁ, শরীআত মহিলাদের সাজসজ্জা গ্রহনের জন্য উৎসাহিত করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে তা একটি স্বতন্ত্র শিল্পের রূপ ধারন করবে। বরং মহিলারা নিজেই তাদের সাধ্যের মধ্যে থেকে সাজসজ্জা গ্রহন করবে। তাই আপনার স্ত্রী বর্তমানে যেভাবে ঘরোয়া পরিবেশে হাতে মেহেদি দিয়ে এবং সাধারণ ভাবে সাজিয়ে দিচ্ছে এর উপরেই ক্ষান্ত রাখুন। এর মধ্যেই কল্যাণ নিহিত।