প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, যে ইমাম চাঁদ না দেখে সৌদি আরবের সাথে রোযা ও ঈদ করে তার পেছনে কি নামায হবে? কুরআন হাদীসের দলীলের আলোকে জানালে উপকৃত হব।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
বর্তমানে স্বাধীন চিন্তাধারার কিছু পণ্ডিতের মাঝে (সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ করার) এ প্রবনতা দেখা দিয়েছে।এ ব্যাপারে কেউ কুরআনের কোন আয়াত, সহীহ হাদীস বা ফুকাহায়ে কেরামের ইজমা পেশ করতে পারবে না। দেখুন সারা বিশ্বে বিভিন্ন সময়ে জুমুআ ও ওয়াক্তিয়ার নামায হচ্ছে। কেউ একসাথে করার প্রস্তাব দেয় না। কারন ভৌগলিক অবস্থানের বিভিন্নতা সকলেই স্বীকার করে। অনুরূপভাবে যুগ যুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন এলাকার মানুষ নিজ নিজ স্থানে চাঁদ দেখে রোযা ও ঈদ পালন করে আসছে।
সাহাবায়ে কেরাম সকল জায়গায় একই সাথে রোযা ও ঈদ পালন করতেন না। সহীহ মুসলিম শরীফে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হযরত কুরাইব থেকে জানতে পেরেছিলেন যে, শামের লোকেরা মদীনা বাসীদের একদিন পূর্বে রমযানের চাঁদ দেখেছে। সেই হিসেবে হযরত মুআবিয়া (রাঃ) শামসীদেরকে একদিন পূর্বে রোযা রাখতে বলেছিলেন।এ তথ্য জানার পরে ইবনে আব্বাস (রাঃ) শামের ঘটনা তাহকীক করে মদীনাতেও একই দিনে রোযা রাখার ব্যবস্থা করেননি। বরং উক্ত হাদীছে রয়েছে হযরত কুরাইব তাকে বললেন আমাদের জন্য কি হযরত মুআবিয়া (রাঃ) এর চাঁদ দেখা ও রোযা রাখা যথেষ্ট হবে না? হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে এমনই আদেশ করেছেন (অর্থাৎ প্রত্যেকে নিজ নিজ চাঁদ দেখা অনুযায়ী রোযা ও ঈদ পালন করবে)।–সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৮০।
কাজেই সারা বিশ্বে একই দিনে রোযা ও ঈদ পালন করা স্পষ্ট গোমরাহী। কোন ইমাম এই মতাদর্শের হলে তাকে পরিবর্তন করা চাই যদি না তিনি তা থেকে ফিরে আসেন।–মিনহাতুল খালেক ২/৪৭২; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৩২১; মারাকিল ফালাহ ৫৩৩; তাহতাবী ৩৫৫; মাআরিফুস সুনান ৬/৩১।