এর দ্বারা স্ত্রী চিরতরে কেয়ামত পর্যন্ত হারাম হয়ে যায়। নিম্নে এ সংক্রান্ত কিছু মাসআলা আলোচনা করা হল-
মাসআলাঃ যদি কোন পুরুষ ও মহিলা একে অপরকে কামভাবে (শাহওয়াতের সাথে) স্পর্শ করে অথবা পুরুষ মহিলার লজ্জাস্থানের ভিতরে কামভাব নিয়ে দৃষ্টি দেয় তবে তাদের প্রত্যেকের জন্য অপরের উপরের সিঁড়ি ও নিচের সিঁড়ির সকলে চিরতরে হারাম হয়ে যায়। অর্থাৎ তাদের কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না। আর কেউ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকলে সে চিরতরে হারাম হয়ে যাবে। একে হুরমতে মুছাহারাহ বলে। -এলাউস সুনান-১১/১৩১,১৩২, রদ্দুল মুহতার-৩/৩১-৩৩।
মাসআলাঃ কেউ তার শাশুড়ী বা মেয়েকে কামভাব নিয়ে স্পর্শ করলে তার স্ত্রী তার জন্য চিরতরে হারাম হয়ে যায়। -রদ্দুল মুহতার ৩/৩১-৩৩।
মাসআলাঃ কোন মহিলা তার ছেলে বা শ্বশুরকে কামভাবে নিয়ে স্পর্শ করলে তার স্বামী তার জন্য চিরতরে হারাম হয়ে যায়। ¬-আদ্দুররুল মুখতার ৩/৩১-৩৩।
মাসআলাঃ হুরমতে মুছাহারাহ সাব্যস্ত হওয়ার জন্য কামভাব উভয়ের হওয়া শর্ত নয় বরং যে স্পর্শ করেছে বা যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে কোন একজনের কামভাব এলেই হুরমতে মুছাহারাহ সাব্যস্ত হবে।-¬রদ্দুল মুহতার ৩/৩৬।
মাসআলাঃ হুরমতে মুছাহারাহ সাব্যস্ত হতে হলে সরাসরি শরীরে স্পর্শ হতে হবে অথবা এমন কাপড়ের উপরে স্পর্শ হতে হবে যার উপরে শরীরের উষ্ণতা অনুভুত হয়।-আদ্দুররুল মুখতার ৩/৩১।
কাজেই পুরুষের জন্য শাশুড়ি ও মেয়ের ( সাবালেগ হলে বা সাবালেগের নিকটবর্তী হলে) সাথে চলাফেরার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন। অনুরূপভাবে মহিলার জন্য শ্বশুর ও ছেলের ( সাবালক বা সাবালকের নিকটবর্তী হলে) সাথে চলাফেরার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন একান্ত প্রয়োজন। নতুবা সামান্য ভুলের কারনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক চিরতরে হারাম হয়ে যেতে পারে।