০১.মুসাফিরের জন্য শরঈ সফররত অবস্থায় রোযা না রাখার অনুমতি আছে । তবে কষ্ট না হলে রোযা রাখাই উত্তম। না রাখলে পরে কাযা করে নিবে।
০২. হায়েয নেফাস অবস্থায় মাহিলারা রোযা ছেড়ে দিবে । এমতাবস্থায় রোযা রাখা জায়েয নেই। পরে কাযা করে নিবে।
০৩.যদি রোযা রাখার কারনে রোগীর রোগ বেড়ে যাওয়ার আশংকা হয় অথবা সুস্থতা বিলম্বিত হয় তবে দ্বীনদার বিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোযা ভাঙ্গা বা না রাখা জায়েয আছে। পরে কাযা করে নিবে।
০৪. গর্ভবতী বা দুগ্ধ দানকারিনী মহিলা রোযা রাখলে যদি তার বা সন্তানের প্রানহানী বা সাস্থ্যহানীর প্রবল আশংকা হয় তবে তার জন্য রোযা ভাঙ্গা বা না রাখা জায়েয।
০৫.কেউ যদি কাউকে রোযা ভাঙ্গার হুমকি দেয় যে, সে রোযা রাখলে তাকে হত্যা করবে বা মারাত্মক কোন ক্ষতি করবে তবে তার জন্য রোযা ভাঙ্গা জায়েয।পরে কাযা করে নিবে।
০৬. শারীবিক দূর্বলতার কারনে যদি রোযা রাখলে নতুনভাবে কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল আশংকা হয় তবে রোযা না রাখার অনুমতি আছে। পরে কাযা করে নিবে।
উল্লেখ্য যে, এক্ষেত্রে বাহানা তালাশ করে রোযা ছেড়ে দেওয়া অনেক বড় গুনাহের কাজ ও জঘন্যতম অপরাধ। মনে রাখতে হবে আল্লাহ তাআলা অন্তরের খবর সম্পর্কে সম্যক অবগত।
০৭. বার্ধক্যজনিত কারনে কেউ রোযা রাখতে সক্ষম না হলে তার জন্য রোযা না রাখার অনুমতি রয়েছে।
এক্ষেত্রে সে রোযার ফিদয়া আদায় করবে । অনরুপ ভাবে রোযা রাখতে অক্ষম এমন রোগাক্রান্ত ব্যক্তির যদি ভবিষ্যতে রোগমুক্তির আশা না থাকে সেও ফিদয়া আদায় করবে।

Loading