الفتاوي الاخيرة

প্রত্যেক ফরজ নামাযে কোন সুরাগুলো পড়া সুন্নত?

রোযার উদ্দেশ্যে সাহরি খাওয়াই যথেষ্ট নাকি মুখে নিয়ত করা জরুরী?

রোযা রেখে মুখের থুতু গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে কি?

ব্যাংক বা পোষ্ট অফিসে টাকা রেখে তার ইন্টারেস্ট দিয়ে সংসার চালানো বৈধ হবে কি?

মৃত্যুর পর ভাই বা ভাতিজা সম্পদ পাবে এই আশঙ্কায় মেয়ের নামে সম্পদ করা যাবে কি?

স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কের সময় মা বা শাশুড়ির কথা মনে এলে কি করব?

হুরমাতে মুছাহারাহ এর বিধান না জেনে করলে এর হুকুম সাব্যস্ত হবে কি?

শিরকী গান গাইলে ঈমান যাবে কি?

নাপাক অবস্থায় নামায পড়লে কি ঈমান চলে যাবে?

শুধু মনে মনে তালাকের কথা ভাবার দ্বারাই তা তালাক পতিত হবে?

পেনশনের টাকা দিয়ে কি হজ হবে? বাবার পেনশনের টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যাবে?

পেনশন ভোগীর সঞ্চয়পত্র হালাল নাকি হারাম? হালাল ফিক্সড ডিপোজিট কোনটা?

অফিসের কাজে পায়ে হেঁটে গিয়ে রিক্সার বিল সাবমিট করা বৈধ হবে কি?

রাতের নামায এক সালামে আট রাকাআত পড়ার দলীল আছে কি?

কনডম ব্যবহার করা কি জায়েয?

স্ত্রীকে আপনি চালাকের পরিবর্তে তোতলানো ভাবে “আপনি তালাক” বললে তালাক হবে কি?

ছবি প্রিন্ট দেওয়া বৈধ কি?

বাসায় পানি না থাকলে তায়াম্মুম করে নামায পরা বৈধ হবে কি? নাকি এক মাইল তালাশ করতে হবে?

আত্মহত্যাকারীর কাফন, দাফন ও জানাযার হুকুম কি?

গান বাজনা শুনা হালাল মনে করলে কি কাফির হবে?

স্ত্রীর পেনশনের টাকায় তার সন্তানরা অংশীদার হবে কি?

কেকের উপর জন্মদিনের উইশ লিখে দেওয়া জায়েয কি?

ব্যবসার জন্য মেয়েদের দিয়ে লাইভ প্রেজেন্টেশন করানো জায়েয কি?

বোনের সাথে ভাই না থাকলে মায়ের সম্পদে কি মামাত ভায়েরা অংশীদার হবে?

৭২ বছরের বৃদ্ধের দেখাশোনার জন্য বালেগা কাজের মেয়ে রাখা যাবে কি?

মেয়ের লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে কি?

হাঁস-মুরগি জবাই করার নিয়ম কি? বাজার থেকে ক্রয়কৃত হাঁস-মুরগি দোকানদার একা জবাই করে দিলে খাওয়া যাবে কি?

সূরা ফাতেহার স্থানে তাশাহহুদ পড়ে ফেললে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে কি?

ঋণ পরিশোধের সময় ঋণের চেয়ে বেশি দিলে নেওয়া যাবে কি?

“১ ঘন্টার বেশি ফোন ব্যবহার করলে তুমি তালাক” স্বামী একথা বললে এবং ফোন ব্যবহার করলে কি তালাক হবে?

স্ত্রীকে তালাক গ্রহনের ক্ষমতা না দিলেও কি সে ডিভোর্স নিতে পারে?

স্ত্রী ডিভোর্স দিলে তা কার্যকর হয় কি?

স্বামী তিন তালাক দিলে সংসার করা যাবে কি?

জমি এগ্রিমেন্ট বা বন্ধক নেওয়া জায়েয হবে কি?

চাকরি থেকে অবসরকালীন টাকা দিয়ে সংসার চালানো এবং হজ করা যাবে কি?

কারো হক নষ্ট করলে এবং তাদেরকে বিস্তারিত বলতে লজ্জা পেলে হক পৌঁছানোর সূরত কি?

তিন তালাক দেয়ার পরে ঘর সংসার করা যাবে কি?

যাকাতের টাকা দিয়ে কি পুরস্কার দেয়া যাবে?

সন্তান পিতামাতার রুমে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে কি?

মুআজ্জীন ও ইমামের নূন্যতম বয়স কত হওয়া উচিত?

শুধু ২/৪ ভরি স্বর্ণ থাকলে কুরবানী ওয়াজিব হবে কি?

কুকুর কামড়ানো প্রানি খাওয়ার বিধান কি?

তাজা মাছ কাটা কি জায়েয?

নামাযে একটি সিজদা দিলাম না দুইটি এমন সন্দেহ হলে করণীয় কি?

মেয়ের বিয়ের জন্য সাহায্য চাওয়া কি বৈধ?

পিতার জন্য এক সন্তানকে কিছু জমি দেওয়া বৈধ কি?

বৃদ্ধ হওয়ার কারণে মান্নত পুরা না করতে পারলে করণীয় কি?

"আমি তোমাকে ছাড়া যাকে বিবাহ করবো, সেই তালাক" একথা বললে কি হুকুম?

লঞ্চে নামায পড়ার সময় কিবলা ঘুরে গেলে করণীয় কি?

কুরবানীর পশুর দুধ নেসাবের মালিক ব্যক্তি খেতে পারবে কি?

লেগুনার ভাড়া দিতে ভুলে গেলে করণীয় কি?

ছবি সম্বলিত পণ্য বিক্রি করে অর্জিত টাকা কি হালাল?

পালক সন্তানকে সম্পদের কিছু দেওয়া যাবে কি?

ঈদের নামাযে প্রথম রাকাআতে ৩ তাকবীরের স্থানে চার তাকবীর দিলে করনীয় কি?

“তোমাকে আমি রাখব না” একথা বললে তালাক হবে কি?

কোন মহিলা তার সৎ ছেলেকে চুমু দিতে পারবে কি?

একটি সন্তান মারা গেলে কোন ফজীলাত আছে কি?

“তোমার মতো স্ত্রী আমার দরকার নেই” এই কথার দ্বারা স্ত্রী তালাক হবে কি?

মেয়ে কালো হলে সন্তানও কালো হবে এটা কি ঠিক?

স্বামী কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিলে পুনরায় সংসার করা যাবে কি?

বিবাহের পর ১ মাস / বছর পর মেয়েকে উঠিয়ে আনা হয় তা কি জায়েয আছে?

হুরমাতে মুছাহারাহ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নোত্তর

মোবাইলে কোরআন শরীফ পড়তে কি অযু থাকা আবশ্যক?

নামাযে মনে মনে কিছু পড়লে নামায নষ্ট হবে কি?

যারা বিকাশে সূদ নেয় তাদের নিকট থেকে ক্যাশ ইন করা যাবে কি?

হুরমতে মুছাহারার জন্য মেয়েদের মধ্যে কামভাব আসার আলামত কি?

বড়পিরের নাম উচ্চারন করে দুআ করা যাবে কি?

যেই মহিলার সাথে যিনা করেছি তার মেয়েকে বিবাহ করা যাবে কি?

নামাযে তাশাহহুদ না পড়লে ঐ নামায দোহরাতে হবে কি?

গোসল ফরজ হবার পর পানি পাওয়া না গেলে করণীয় কি?

ঘুষ দিয়ে চাকুরী নেওয়া জায়েয হবে কি?

উযূতে মুখ ধৌত করার সীমানা কতটুকু?

অমুসলিমদের কাছে কোনো দুআ চাওয়া জায়েয আছে কি?

দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে (যেমন পড়াশোনার জন্য) কাফেরদের দেশে যাওয়া জায়েয হবে কি?

স্বামী তালাক গ্রহনের ক্ষমতা না স্ত্রী তালাক গ্রহন করতে পারবে কি?

হারাম গোশত ফ্রাই করা তেলে হালাল গোশত ফ্রাই করে খাওয়া বৈধ কি?

হিন্দু ধর্ম সহ অন্যান ধর্মের মানুষের বাড়িতে খাওয়া যাবে কি?

ইমাম চতুর্থ রাকাআতে না বসে দাঁড়িয়ে গেলে নামাযের হুকুম কি?

অনলাইনে কিভাবে হালাল ইনকাম করব?

অনিচ্ছাকৃতভাবে মাথায়  শিরক এর বাক্য চলে এলে করণীয় কি?

মনে শিরকী চিন্তা এলে কি ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়?

মনে শিরক এর মতো চিন্তা এলে কি করব?

ইমামের পিছনে কিরাআত পড়তে হবে কি?

বিকাশে লেনদেন করা বৈধ হবে কি?

1 2 3 8
السلام علييكم

একটি বিশেষ আবেদন

প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম সেদিন একটা লেখা দেখলাম “কেউ যদি বিয়ের আগে বলে ‘যত বিয়ে করব সব স্ত্রী ৩ তালাক’ তাহলে সে বিয়ে করলেই স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে” আমি একজন অবিবাহিত ওয়াসওয়াসার রোগী। আমি কোনো কাজ ঠিক ভাবে করতে পারি না। উযূ করতে ১ঘণ্টা লাগে। মাঝে মাঝে নামায ২-৩বার পড়তে হয়। কিছুতেই মনকে শান্তি দিতে পারি না। কোনো নাপাক লাগলে ১২-১৩ বার ধুই। মাঝে মাঝে ভুল করে মৃত্যুও কামনা করে ফেলি। তার ওপর ওই লাইনটি দেখার পর মনে মনে বার বার লাইনটি মনে পড়ছে। আমি জানি মনে আসলে তালাক হয় না। তবুও বার বার সন্দেহ হয় যে, মনের কথাটি ভুল করে উচ্চারিত হয়ে যায়নি তো? আমি প্রচুর টেনশনে আছি।পড়াশোনা করতে পারছি না। সকাল সন্ধা যত বার লাইনটি মনে পড়ছে ততবার সন্ধেহ হচ্ছে যে, ভুল করে উচ্চারিত হয়েছে কিনা? টেনশনে আমি অস্থির হয়ে পড়েছি। মনে হচ্ছে বাঁচব না। আমি জানি যে মনে মনেই ভাবনা এসেছে। তবুও সন্ধেহ হচ্ছে। দয়া করে তাড়াতাড়ি চিন্তামুক্ত করবেন স্যার? আর আমাকে বাঁচাবেন স্যার? আল্লাহর কাছে আপনার জন্য প্রচুর দোয়া থাকবে আমার তরফ থেকে।উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালামআপনি উক্ত ওয়াসওয়াসার প্রতি কোন ভ্রূক্ষেপ করবেন না। আর এর দ্বারা বিবাহের পর আপনার স্ত্রী তালাকও হবে না। ওয়াসওয়াসা মারাত্মক একটি রোগ। যা মানুষকে ধীরে ধীরে কুফরী পর্যন্ত নিয়ে যায়। মানুষ ওয়াসওয়াসাকে যত গুরুত্ব দিতে থাকে তা তত বাড়তে থাকে। তাই আপনি যখন কোন আমল করবেন তখন উক্ত আমলের ব্যপারে অন্তরে কোন ওয়াসওয়াসা এলে তার প্রতি বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করবেন না। নতুবা শয়তান আপনাকে খুব ভালোভাবে পেয়ে বসবে। কেননা প্রত্যেক আমলে সংশয় সৃষ্টি করার জন্য নির্ধারিত শয়তান নিযুক্ত রয়েছে। যেমন উযূ করার সময় কোন অঙ্গ তিনবার ধৌত করার পর ওয়াসওয়াসা এলে শয়তানকে এই বলে শাসাবেন আমি আজ উযূ ছাড়াই নামায পড়ব। অনুরূপভাবে নাপাক কাপড় তিনবার ধৌত করার পর ওয়াসওয়াসা এলে শয়তানকে এই বলে শাসাবেন আমি নাপাক কাপড়েই নামায আদায় করব। এভাবে প্রত্যেকটি আমলেই ওয়াসওয়াসাকে উপেক্ষা করতে থাকুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ওয়াসওয়াসা চলে যাবে ইংশাআল্লাহ। এভাবে কয়েকদিন আমল করার পর পুনরায় আপনার অবস্থা আমাকে অবহিত করার অনুরধ রইল।ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্নোত্তরের লিঙ্ক আপনার সুবিধার্থে দেওয়া হল।http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=680http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=1181http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=658http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=60397,937 total views, 644 views todayআল্লা আপনার ভাল করুক.আপনার এই উত্তোর এ আমি কিছুদিন ভাল ছিলাম.কিন্তু কিছুদিন পর আবার ওয়াসওয়াসা গ্রাস করেছে.এখন আবার ওজু গোসল করতে মারাত্মক সময় লাগে.নামাজে সুরা পরার সময় ওই লাইনটি বারবার মনে আসে(যত বিয়ে করব সব স্ত্রী ৩ তালাক’)আর মারাত্মক সন্ধেহে পড়এ জাই উচ্চারিত হল কিনা?(কিন্তু লাইনটি মনে মনেই এসেছে).পানি খাওয়ার সময়,ব্রাশ করার সময়,কুলকুচি করার সময় লাইনটি মনে হলেই সন্দেহে পরে জাই.ঘুমের মধ্য বা তন্দ্রা অবস্থাই মনে হয় বলা হয়েছে,তার পর মনে হয় নাতো সপ্নে দেখেছি.ওগুলো নিয়ে২ বার সপ্নও দেখেছি এখন.আর সন্দেহ হয়, জেন উচ্চারন করেছি.আমি পুনরায় মারাত্মক মানসিক টেনসনে পরেছি.চিকিতসাও করিয়েছি.কোনো রোগ নেই.নামাজ ও ২-৩বার করে পড়তে হয়.ঘরে চাবি দিয়েও ৫-৬বার চেক করি.দুনিয়াটাও ভাল লাগছে না.কেন এরকম হচ্চে বুজতে পারছি না.কোনো কাজ ঠিকমত করতে পারছি না.কোনো আমল ও শান্তিতে করতে পারছিনা.বিশেষ করে তালাকের সন্ধেহ টা আমার মানসিক অবস্থাকে জটিল থেকে জটিলতর করছে.জতবার লাইনটি মনে পড়ছে…আমাকে জত তাড়াতারি সম্ভব বাঁচাবেন স্যার এই জন্ত্রনা থেকে.আল্লার কাছে অসংখ্য অনেক দোয়া থাকবে আপনার জন্য.

عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.

হযরত আসসালামু আলাইকুম। হযরত কেমন আছে? আশা করি আল্লাহ তা’য়ালার রহমতে ভালো আছে। হযরত আমি ছোট কালে এবং বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি স্বপ্ন দেখেছি। অনুগ্রহ করে যদি আমার স্বপ্নে ব্যাখ্যা দিতেন তবে খুব খুশি হতাম। (যদি না দিতে চান তবে কোন আপত্তি নাই। শুধু আপনাকে আমার স্বপ্নগুলো জানানো উদ্দেশ্য।) স্বপ্ন নং ১। আমি তখন অনেক ছোট ক্লাস টু বা থ্রী তে পড়ি। আমার মা ও আমার ছোট মামা (যে এখন বিদেশে) আমাকে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি প্রসীদ্ধ ঘটনা, যে একজন সাহাবী (রাঃ) হুজুরের মহরে নববীতে চুম্বন করার জন্য একটি পাওনার অভিনয় করে। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তার চাদর মোবারক পিঠ থেকে সরিয়ে দেয় তখন তিনি মহরে নবুওয়াতে চুম্বন করেন। ঘটনাটি তারা আমার কাছে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করার পর আমার মনে এমন একটি আগ্রহ পয়দা হয় যে যদি আমিও পারতাম। ঠিক সেদিন রাতেই আমি স্বপ্নে দেখি- “হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খালি গায়ে বসে আছেন। আমি তার পিছনে ছিলাম। আমি আস্তে করে গিয়ে তার পিঠের মহরে নবুওয়াতে চুম্বর করার পর লজ্জায় হতভম্ব। আর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার আব্বার সুরতে হাতে একটি প্লেটে পান্তাভাত খাচ্ছেন ও আমার কান্ড দেখে খুব হাসছেন আর আমাকে বার বার বলছেন, বল কি করলা? বল কি করলা?” এর পর আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। অথ্যাৎ আমি যে তার মহরে নবুওয়াতে চুম্বন করলাম তা তিনি খুশি হয়ে বার বার শুনতে চাচ্ছেন ও আমার লজ্জা ভাঙ্গাতে চাচ্ছেন।স্বপ্ন নং ২। আমি স্বপ্নে দেখলাম আমি আকাশে আছি। চারদিকে ও উপরে অন্ধকার। শুধু সামনে আল্লাহ তা’য়ালা একটি বড় সিংহাসনে বসে আছেন। আল্লাহ তা’য়ালার কুদরতি চেহারা দেখি নাই। শুধু তার বুক পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে দেখা যায়। আমি তার চেহারা দেখার চেষ্টাও করি নাই। কারণ আমি অপরাধী ছিলাম। আমি সহ আরো বেশ কয়েকজন আল্লাহ তা’য়ালার সামনে পায়ে সিকল বাধা অবস্থায় বসা। আমাদের সিকলের অপর মাথা আল্লাহ তা’য়ালার কুদরতি হাতে ছিল। কিছুক্ষণ পর আল্লাহ তা’য়ালা তার কুদরতি হাতে থাকা আমাদের পায়ের সিকলের মাথা উপরের দিকে ছুড়ে দিয়ে আমাদেরকে বললেন যাও তোমাদের মাফ করে দিলাম। আমরা তখন খুশিতে পায়ে সিকল বাধা অবস্থায়ই (অপর প্রান্ত মুক্ত) লাফ দিয়ে দৌড়াচ্ছিলাম আর খুশি হচ্ছিলাম যে আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের মাফ করে দিয়েছেন।স্বপ্ন নং ৩। একটি বড় রাজপ্রসাদ ও এলাকা যেখানে ঠিক ভাবে ইসলামী হুকুমত চলছে না। আমি সহ আরো কয়েকজন সাহাবি প্রসাদ থেকে পলায়ন করে ঘোড়ায় চড়ে আসতেছি। কেউ একজন আমাদের দেখে পিছু ধাওয়া করলেও কিছু দুর এসে সে ফিরে যায়। আমাদের ধরতে পারে নাই। আর আমরা ঘোড়ায় চড়ে আসতে আসতে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের কাছে চলে আসি। ( কবরটি মদিনা নয় বরং আমি ছোট কালে ৩৩ নং মিন্টুরোডের যে বাড়িতে বড় হয়েছি সেখানে পশ্চিম দিকে একটি মাঠের মত আছে যেখানটায় অনেক গাছপালা ও নিরিবিলি।) আমরা যখন কবরের কাছে গেলাম তখন কবরের বাহিরে খোলা পা বের করা ছিলো। আমি খুব ভক্তির সাথে একটি পায়ে খুব আস্তে স্পর্ষ করে সালাম করি। যখন কবরের ভিতরের দিকে খেয়াল করলাম তখন দেখলাম হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুয়ে আছেন এবং ছতরের কাপড় ঠিক না থাকায় আমি সম্মানের সাথে চোখের হেফাজত করি। এরপর দেখি আমার সালামের পর এবং সাহাবাদের আগমনে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আস্তে আস্তে কবর থেকে উঠে দাড়াচ্ছেন। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন পরিপূর্ণ ভাবে উঠে দাড়ালেন তখন একজন সাহাবী হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন – হুজুর আয়শা (রাঃ) তো আপনার কথা মত কাজ করছেন না। তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আস্তে আস্তে হাটতে ছিলেন (যেমন আমরা কথা বলার সময় একদিক থেকে অন্য দিকে বার বার হাটি আর কথা বলি ঠিক সেরকম) আর সাহাবাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে ছিলেন। কিন্তু আমি বুঝনাই যে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি বলতে ছিলেন। আমি শুধু ভয়ে আর শ্রদ্ধায় চুপ চাপ অনড় ভাবে সাহাবাদের সাথে দাড়িয়ে ছিলাম আর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা শুনতে ছিলাম। একটু পরেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।স্বপ্ন নং ৪। আমি এক ঝলক দেখলাম বিশাল একটি বাহিনী জেহাদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছিলাম এর সেনাপতি আমাদের হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কিন্তু আমি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে দেখি নাই। আমি পায়দল ছিলাম। আমার হাতে একটি বর্শা বা অন্য কোন যুদ্ধাস্ত্র ছিল। আমার পাশেই একটি ঘোড়ায় ফরিদাবাদ মাদ্রাসার মুফতি আব্দুস সালাম সাহেব (দাঃ) ছিলেন। আমি ইচ্ছা করেই মুফতি আব্দুস সালাম সাহেব (দাঃ) এর সাথে সাথে থাকছিলাম কারণ আমি বুঝতে পারছিলাম হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি কোন নির্দেশনা দেন তবে তা আরবীতে দিবেন। আর আমি যেহেতু আরবী বুঝি না তাই আমি আব্দুস সালাম সাহেবের কাছ থেকে বুঝে নিতে পারবো।স্বপ্ন নং ৫। আমি আপনার সাইটে দেখলাম মুহাম্মাদ নাম রাখা যায়। এর পর রাতে শুয়ে আমার স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করলাম আমাদের ছেলের নাম আজ থেকে মুহাম্মাদ। এর পর ঘুমালে স্বপ্নে দেখলাম- “আমি কোন একটি সংবাদ হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে দেয়ার জন্য যাচ্ছি। পথে একটি টিনের ঘর। ঘরের উত্তর দিকে একটি জানালা। জানালার পাশ দিয়েই যাতায়াতের রাস্তা। জানালায় একটি লোক দাড়ানো যে ভিতরের কারো কথা শুনছেন। আমি দাড়ানো লোকটিকে অতিক্রম করে আবার পিছনে ফিরে লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলাম হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি ভিতরে আছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ। পরে আমি পিছনে এসে জানালা দিয়ে দেখলাম যে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি খাটের উপর লুঙ্গি,পাঞ্জাবী, টুপি, পাগড়ী পড়ে বসে আরো কয়েকজনের সাথে কথা বলছেন। আমি তখন জানালা থেকে সরে ঘরে পিছন দিয়ে ঘুরে বাড়ির দরজা যা দক্ষিণ দিকে ছিলো এসে দরজা দিয়ে ঘরে ঠুকে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সালাম করলাম এবং তার সাথে মুসাফা করলাম। এর পর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কিছু বললাম এবং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আমাকে কিছু বললেন যা আমার মনে নাই।” এর পর আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।স্বপ্ন নং ৬। আমি দেখলাম একটি টিনের সেট ঘর। যা দেখতে অনেকটা স্কুল ঘরের মত লম্বা। যার অনেকগুলো কক্ষ। স্কুল ঘরটির দরজা পূর্ব মুখী। আমি সহ আরো অনেক মানুষ এ কথা জানতে পেরে ছুটে এসেছি যে এখানের আল্লাহ তা’য়ালা ও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। যখন ঘরের সামনে পৌছলাম তখন একেবারে শেষে দক্ষিণের রুমে যার পরে আরো কোন রুম নেই আল্লাহ তা’য়ালা আছেন এবং তার সাথের পরের উত্তরের রুমে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আছেন। সেখানের উভয় রুমেই অনেক মানুষ। আমি দৌড়ে আসছিলাম আর চিন্তা করছিলাম হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে তো আগে দেখেছি সুতরাং এখন আল্লাহ তা’য়ালাকে দেখবো। তাই আমি দক্ষিনের আল্লাহ তা’য়ালার রুমে গেলাম। আমি দেখলাম অনেক সুন্দর একজন দাড়ি ওয়ালা মানুষ (যিনি আল্লাহ তা’য়ালার সূরতে ছিলেন) তার সাথে আরো বেশ কয়েকজন মানুষ আছে। আমি রুমে ঢুকে আল্লাহ তা’য়ালাকে দেখে তাকে প্রশ্ন করার আগেই আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে হাসি মুখে বললেন থাক থাক আর বলতে হবে না ভালো আছি। আমি তখন বুঝলাম তিনি আল্লাহ তা’য়ালা সুতরাং তিনি সবই জানেন সুতরাং আমি কি প্রশ্ন করবো তা তার জানা স্বাভাবিক। এরপর আমি তাকে যে প্রশ্নই করতে চাই দেখলাম আমার প্রশ্ন করার আর প্রয়োজন হচ্ছে না। মনে প্রশ্ন আসছে আর আল্লাহ তা’য়ালা আমার অন্তর দেখে দেখেই উত্তর দিচ্ছে। আমি এতে একটুও অবাক হলাম না। কারণ আমি ভাবছিলাম তিনি আল্লাহ আমার মুখে প্রশ্ন করার প্রয়োজন নেই। এর পর আমিও স্পষ্ট ভাবে অনুভব করলাম আমার অন্তরের সকল প্রশ্ন ‍ গুলো কি ভাবে অন্তরে আসছে আর তিনি স্পষ্ট ভাবে তা দেখছেন আর প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।

عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.

আমার প্রশ্ন একটাই।আমার বিয়ে হয়েছে ২ মাস কিন্তু গত ১ মাস ধরে আমাদের মধ্যে অনেক প্রবলেম হচ্ছে।আমার শ্বশুর বাড়ির সবাই বলছে যে কেউ বান মেরেছে(যা আমার মোটেও মনে হচ্ছে না)আজকে তারা আমাকে না বলে আমার রুমে একজন কবিরাজ টাইপ হুজুর নিয়ে আসছে।আমাকে রুম থেকে বের করে দিয়ে তারা কথা বলেছে এবং পানি পরা দিয়েছে, তারপর নাকি তাবীজ দিবে।পরে আবার ফোন করে আমার নাম ও আমার মায়ের জেনে নিয়েছে।আমার স্বামীর ও।তারা বলছে এগুলো সমস্যা কাটানোর জন্য নাকি।আমার এক বোন এসব শুনে বলেছে তারা কুফুরী কালাম করছে।আমাকে তারা পানি খাওয়াবে এবং তাবিজ পরাবে।আমি বুঝতেছিনা যে কি করব?খুব ই ভয়ে আছি।দয়া করে আমাকে কি বলবেন এগুলো কুফুরী করার নিয়ম কি না?

عفوا، هذه المدخلة موجودة فقط في البنغالية.

البحث