سؤال : আসসালামু আলাইকুম। হযরত আমাদের এখানে ইউনিক স্কুলের পাশে একটি খ্রিষ্টান স্কুল আছে। তারা টাকার বিনিময়ে মহিলাদেরকে খ্রিষ্টান বানায়। এরপর বিভিন্ন রকমের মূর্তি দিয়ে দেয়। আরো অনেক নিয়ন কানুন। আমাদের কি তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যেমন জেহাদ বা এধরণের কিছু। জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।

جواب :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
এক্ষেত্রে দাওয়াতের মেহনত জোরদার করা এবং ঈমান আমলের সংশোধনের ফিকিরের বিকল্প নেই। আসলে যে মানুষগুলো খ্রিস্টান হচ্ছে তারা মূলত ঈমানের মূল্য এবং কুফরীর ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পারেনি। কোটি কোটি মুসলমানের দেশে সামান্য কজন তাদের উল্টা পাল্টা বুঝিয়ে খ্রিস্টান বানিয়ে ছাড়ছে। আর কোটি কোটি মানুষ তাদের সহীহ বুঝ দিতে পারছে না। আমরা যদি ব্যাপকভাবে ঈমানী মেহনত ও দাওয়াতের আমল জারি রাখতাম তাহলে টাটকা মাল ছেড়ে কেউ ভেজালের পিছনে দৌড়াতো না। কত আশ্চর্য কথা একটা ভেজাল মাল সহজেই আমাদের মুসলমানের মাঝে প্রচার করে তারা সফল হয়ে যাচ্ছে। আর আমরা এতগুলো মানুষ সঠিকটা চালাতে পারছি না। আল্লাহ তাআলার কাছে আমাদের কি জাবাব হবে? তাই এই মুছীবাতের মোকাবেলার সর্বোত্তম পদ্ধতি হল দাওয়াতের মাধ্যমে মুসলমানদের ঈমানী চেতনা ফিরিয়ে আনা।

Loading