سؤال : আসসালমু আলাইকুম, ১। যদি গ্রামে থাকি তাহলে কি সমাজের মসজিদেই নামায পড়তে হবে, সমাজের মসজিদে নামায না পড়লে কি গুনাহ হবে? ২। আমি আগে কারো কিছু চুরি করেছি। এখন বুঝতে পারছি এটা অন্যায়। এখন এই পাপ কিভাবে ক্ষমা হবে? তাওবা করলে কি চুরির গুনাহ ক্ষমা হয়ে যায়? ওয়া আলাইকুমুস সালাম
جواب :১। যদি জানার বিষয় এটা হয় যে, সমাজের মসজিদে নামায না পড়ে ঘরে পড়বেন তাহলে তো এটা গুনাহের কাজ। বিনা উযরে জামাআত তরক করা জায়েয নেই।
আর যদি জানার বিষয় এটা হয় যে, নিজ মহল্লার মসজিদে নামায না পড়ে অন্য মহল্লার মসজিদে নামায পড়বেন তবে শরয়ী উযর ব্যতীত অন্য মহল্লার মসজিদে যাওয়া ঠিক নয়। তবে যদি কোন উযর থাকে যেমন নিজ মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেবের কিরাআত সহীহ নয় বা তিনি বিদআতী বা কোন গুনাহের কাজে প্রকাশ্যে লিপ্ত হয় ইত্যাদি সেক্ষেত্রে অন্য মহল্লার মসজিদে যেতে কোন অসুবিধা নেই বরং সেক্ষেত্রে যাওয়াই কর্তব্য।
২। এর জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট খালেছভাবে তাওবা করতে হবে। আর চুরিকৃত ঐ বস্তু অথবা তার মূল্য মূল মালিককে কোনভাবে ফিরিয়ে দিতে হবে। তাকে কোনভাবে পাওয়া না গেলে তার ওয়ারিশদেরকে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদের কোনভাবে পাওয়া না গেলে তাকে ছাওয়াব পৌঁছানোর নিয়তে কোন গরীবকে তা সদকাহ করে দিবেন। শুধু তাওবা করাই যথেষ্ট নয়।-রদ্দুল মুহতার ৫/২৩৫; ফাতাওয়া উসমানী ৩/১২০,১২১