প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম,হযরত আমার প্রশ্ন গুলো হলো:১;আমি অর্নাস শেষ করেছি,চাকরী অনেক বেশী জরুরত,কি কি আমল করা যায় রিজিকের দ্বার খুলার জন্য?২;হযরত যখন নামাজে দাড়াই তখন আমি নিজেকে একাগ্রতার উপর ঠিক রাখার জন্য এটা দিলে রাখি এতে কি গুনাহ হবে?যেমন সামনে আল্লাহ,পিছনে আজরাঈল,ডানে জান্নাত,বামে জাহান্নাম,দাঁড়িয়ে আছি পুলসিরাতে উপর?এগুলো মনে এনে মনে মধ্যে বাংলা বলি?এতে নামাজ ক্ষতি হবে?এই যে নামাজের একাগ্রতার জন্য মনে সামান্য সেকেন্ডের জন্য মনে কিছু আখিরাত মুখী কথা আনি?এই মনে বাংলা কথা নামাজের জন্য আসা কি ক্ষতি গুনাহ হবে?এটা বিশেষ হয় যখন জামাতে ইমামের পিছনে দাড়াই?৩য় কোনো প্রশ্ন নয়,হযরত একটু দোয়া চাই?আল্লাহ যেনো হালাল একটা রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন;অনেক বেশী জরুরত।দোয়া করবেন আমার জন্য।

উত্তর :

১। রিযিকের প্রশস্ততার জন্য حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ এই দুআ প্রতিদিন ৩০৮ বার পড়বেন। আর আল্লাহ্‌ তাআলার কাছে বেশি বেশি নামায পড়ে দুআ করবেন। এবং ইস্তেগফারের খুব বেশি বেশি করবেন।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৩২১; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৩৮১৯।

২। ইমাম যখন নিম্নস্বরে কিরাআত পড়ে তখন এমন খেয়াল করা যেতে পারে। তবে উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করলে অথবা একাকী নামায পড়লে তিলাওয়াতের প্রতি মনোযোগী হওয়া কর্তব্য।–সূরা আরাফ, আয়াত ২০৪।

৩। না।

দুআ করি আল্লাহ্‌ তাআলা দ্রুত আপনাকে একটি হালাল রিযিকের ব্যবস্থা করে দিন। আমীন।

Loading