পশু বা প্রানীর যাকাত
মাসআলাঃ যে কোন ধরনের পশু ব্যবসার নিয়তে ক্রয় করা হলে তার মূল্যের উপর যাকাত আসবে।অর্থাৎ যেদিন যাকাতের হিসাব করবে ঐদিন তার বাজার দরের উপর যকাত দিয়ে দিবে।
মাসআলাঃ যে সকল প্রানী হাল চাষের জন্য বা বোঝা বহনের জন্য বা গাড়ী টানার জন্য পোষা হয় তার উপর যাকাত আসবেনা।
মাসআলাঃ গরু,ছাগল,ভেড়া,দুম্বা,উট ও মহিষ যদি বংশ বৃদ্ধির জন্য বা এমনেতিই পালন করা হয় তবে এগুলো সায়েমা হলে যাকাত আসবে। সায়েমা এমন জন্তুকে বলে যার বেশীর ভাগ সময়ের খাদ্য বা বেশির ভাগ খাদ্য নিজেদের দিতে হয় না।বরং মাঠে ময়দানে বা চরন ভূমি থেকে ঘাস পাতা খেয়ে বেচে থাকে। বর্তমানে আমাদের দেশে এমন গরু , ছাগল ইত্যদি পাওয়া যায় না। আমাদের দেশের গরু ,ছাগলকে বেশীর ভাগ সময় বা পূরো সময় কেনা খাবার বা তোলা খাবার দিতে হয়। কাজেই গরু,ছাগল ইত্যদি পশুর যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য প্রযোজ্য শর্ত তথা সায়েমা হওয়া আমাদের দেশে পাওয়া যায় না। তাই এর বিস্তারিত বিবরন উল্লে¬খ করা প্রয়োজন মনে করছি না। এর পরেও কোন পাহড়ী অঞ্চলে যদি এমন পশু পওয়া যায় তবে বিজ্ঞ মুফতীদের শরনাপন্ন হওয়া যেতে পারে।
মাসআলাঃ গরু, ছাগল,ভেড়া ,দুম্বা,মহিষ ও উট এই ছয়টি পশু ব্যতীত অন্য কোন পশুতে ব্যবসার নিয়ত ব্যতীত যাকাত ফরজ হয়না।