প্রশ্ন : ১। ফরজ চার রাকাআত নামাযে শেষ দুই রাকাআতে কি সুরা ফাতিহা পড়তে হয় যদি আমি জামাআতে নামায পড়ি? ২। যোহর ও আসর নামাযে ইমাম তো আস্তে কিরাআত পড়ে। সেক্ষেত্রে কি সুরা ফাতিহা পড়তে হবে? ৩। জামাআতে চার রাকাআত ফরজ নামাযে আমি যদি শেষ দুই রাকাআত পাই তাহলে যেই দুই রাকাআত পেয়েছি সেই দুই রাকাআত কি প্রথম দুই রাকাআত হিসেবে গণ্য হবে নাকি শেষ দুই রাকাআত। আর বাকি দুই রাকাতে আমি কি শুধু সুরা ফাতিহা পড়ব নাকি সুরা ফাতিহার সাথে অন্য সুরাও পড়ব? ৪। আমি নামায পড়তে গেলে আমার মনে হই আমি আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়ি নাই যদিও পড়ে থাকি, সিজদা দুইটা দিলেও মনে হয় একটা দিছি, এক সুরা বার বার পড়ি মনে হই ভুল হইছে, নামায এর শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়লেও মনে হয় পড়ি নাই। এসব কারনে আমার নামায পড়তে অনেক সময় লাগে। এক্ষেত্রে আমার কি করনীয়? আর এই সমসসার সমাধান কি? ৫। নামাযের প্রথম রাকাআত যদি আমি যাওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কি আমি নামাযের পুরা নিয়ত করে নামায শুরু করব নাকি হাত তুলে নিয়ত না পড়ে হাত বাঁধব? আর সে সময় কি সানা পড়া লাগবে?
উত্তর :১+২। ইমামের পিছনে মুক্তাদীর কোন কিরাআত নেই, চাই তা যে ওয়াক্তেই হোক না কেন, যে রাকাআতেই হোক না কেন।–সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৮৫০; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮২৬
৩। আপনি যে দুই রাকাআত পেয়েছেন কিরাআতের দিক দিয়ে তা শেষ দুই রাকাআত হিসেবে গণ্য হবে। কাজেই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি পরের দুই রাকাআতে সূরা ফাতেহার সাথে অন্য কোন সূরা মিলাবেন।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৬৩৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৯১
৪+৫। প্রশ্ন ফরমে একসাথে তিনটির বেশী প্রশ্ন করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই এগুলোর উত্তর জানতে দয়া করে পুনরায় প্রশ্ন করুন।