প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। উপজেলার কেন্দ্রবিন্দুতে আমাদের বসত-বাড়ী ও একটা বহুতল মার্কেট আছে – যার আনুমানিক মূল্য ৮-১০ কোটি। এর মালিক আমরা ভাই-বোনেরা। এর ভিতর আমার বড় ভাইয়ের সংসার চলে মার্কেট ও বাড়ীর ভাড়া এবং মার্কেটে একটা ফার্মেসী আছে – তার আয় থেকে। কিন্তু ফার্মেসী দিতে গিয়ে উনি বহু টাকা (প্রায় ১৪-১৫ লাখ) সুদের উপর লোন নিয়েছেন। ফলে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসারতো চলেই না, বরং দিন দিন লোনের পরিমাণ বাড়ছে। এ দিকে ওনার এক ছেলে আছে, যে ফার্মেসী দেখা-শোনা করে। কিন্তু ছেলেটি নেশাগ্রস্ত। সে-ও বিভিন্ন জায়গা থেকে লোন করেছে, যার অংক আমার জানা নেই। আশে-পাশের সবাই যেখানে ফার্মেসী দিয়ে ভালো করছে, কিন্তু এই ছেলের কারনে – উনার ফার্মেসী প্রায় ধ্বংসের মুখে। তাকে অনেক ভাবে বোঝানো হয়েছে, কিন্তু সে যে নেশা করে, সেটাই সে স্বীকার করে না। সংশোধন তো দূরের কথা। এখানে উল্লেখ্য, মার্কেটটি আমরা বিক্রয় করে দেয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তেমন কোন কাষ্টমার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায়, উনার লোন পরিশোধ করার জন্য – ১) আমরা ভাই-বোনেরা যদি যাকাতের টাকা দেই, তাহলে কি আমাদের যাকাত আদায় হবে? ২) উনার লোন শোধ করার পর, ছেলের কারনে যদি আবারও লোন করেন – যার সম্ভবনা অনেক অনেক বেশী, তখন আমাদের কি করনীয় হবে?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। প্রশ্নের বর্ণনা দেখে মনে হয় মার্কেট ও বাড়ীর ভাড়া এবং মার্কেটের ফার্মেসীর আয় থেকে আপনার বড় ভাইয়ের সংসার চলে। এখন যদি তার প্রয়োজন অতিরিক্ত অন্য কোন সম্পদ না থেকে থাকে এবং দোকানের ওষুধের মূল্য তার ঋণের চেয়ে কম হয় তবে তাকে যাকাত দেওয়া যাবে। আর যদি এমন হয় যে, তার নিকট প্রয়োজন অতিরিক্ত এ পরিমান সম্পদ আছে, যা দ্বারা ঋণ পরিশোধ করার পরেও তার নিকট নেসাব পরিমান (যা বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ৪২০০০ টাকা) সম্পদ অবশিষ্ট থাকে, তবে তাকে যাকাত দেওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য যে, প্রয়োজন অতিরিক্ত সম্পদ হল, যা তার জীবিকা নির্বাহে কাজে আসে। অর্থাৎ যেটা না হলে তার সংসার চলে না।–খুলাছাতুল ফাতাওয়া ১/২৪২; ফাতহুল কদীর ২/২৭৮
২। তখনকার অবস্থা বিস্তারিত জানিয়ে পুনরায় প্রশ্ন করলে ভালো হবে।