প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। ১। হযরত আমি ২০১২ সালে পলিটেকনিক এ ভর্তি হই। পলিটেকনিক এ গরীর ছাত্র বিবেচনা করে ৬ মাস পর পর ৪৮০০ টাকা দিতো। একে stipend বলতো। এই stipend list এ আমার নাম ছিল। আমি টাকাও পাইতাম। এখন কথা হল এই stipend form পূরন করতে আমি কিছু মিথ্যা কথা লিখছিলাম(যেমন পরিবারে সদস্য সংখা বেশী বলছিলাম, ঘর পাকা থাকা সত্তেও কাচা বলছিলাম)। আমি গরীব পরিবারের এটা ঠিক ছিল। এখন ঐ stipend এর টাকা আমার জন্য কি হালাল ছিলো? হালাল না হইলে এর থেকে মুক্ত হবো কিভাবে? ২। আমাদের পলিটেকনিক এ মেধার বিবেচনা করেও ৬ মাস পর পর কিছু টাকা দিতো। কিন্তু কোনো কোনো পরীক্ষায় আমি নকল করে/আউট প্রশ্ন দেইখা পরীক্ষা দিয়া বেশী নম্বর পাইছি। অবশ্য আমাদের অনেক বন্ধু নকল করে/আউট প্রশ্ন দেইখা পরীক্ষা দিছে। এখন প্রশ্ন এই টাকা কি আমার হালাল ছিলো? আর হালাল না হলে এর থেকে মুক্ত হবো কিভাবে?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। প্রশ্ন থেকে বুঝে আসে আপনি বাস্তব অবস্থা প্রকাশ করলে উক্ত ভাতা পেতেন না। যদি বিষয়টি এমন হয় তবে আপনি উক্ত ভাতা পাওয়ার যোগ্য নন। সেক্ষেত্রে তা গ্রহন করা আপনার জন্য বৈধ হয়নি। এখন উক্ত টাকাগুলো আপনাকে পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আর যদি পলিটেকনিকে উক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার কোন সুযোগ না থাকে বা অসম্ভব হয় তবে তা ছাওয়াবের নিয়ত ব্যতীত গরীবদের মাঝে সদকাহ করে দিতে হবে।

২। নকল করা বা আউট করা প্রশ্ন দেখে পরীক্ষা দেওয়া আমানতের খেয়ানত। এখন যদি এমন হয় যে উল্লেখিত পদ্ধতিতে খেয়ানত করার কারনেই আপনি উক্ত ভাতার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিলেন তবে তা আপনার জন্য বৈধ হয়নি। এক্ষেত্রেও উক্ত টাকাগুলো আপনাকে পলিটেকনিক কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আর যদি পলিটেকনিকে উক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার কোন সুযোগ না থাকে বা অসম্ভব হয় তবে তা ছাওয়াবের নিয়ত ব্যতীত গরীবদের মাঝে সদকাহ করে দিতে হবে।
সূত্রসমূহ- সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৭৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪১৭৭; রদ্দুল মুহতার ২/২৯২, ৫/৯৯, ৬/১৮২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৯৪; হিদায়া ৩/৬৮,৬৯; ফাতহুল কদীর ৮/২৫৫; মাবসূতে সারাখসী ১১/৭৭; বাদায়েউস সানায়ে ৬/১৪৯; ফাতাওয়া উসমানী ৩/১২০-১২৪

Loading