প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। হযরত আপনার একটি প্রশ্নোত্তর দেখলাম যে, হারাম মাল দ্বারা তৈরিকৃত বাড়ি থেকে ভাড়া গ্রহন করা বৈধ কি? এর উত্তরে প্রায় সবই দান করে দিতে হবে। তাহলে তো বর্তমান যামানায় প্রায় সবাই এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। তাহলে তো মোটামুটি সবাই নিঃস্ব হয়ে যাবে। যেমন আমার আব্বাও অনেক সময় বিভিন্ন সমিতি থেকে টাকা এনেছেন আবার তা পরিশোধও করেছেন। এগুলোর হিসাবই বা করবো কিভাবে? আর এগুলো বাদই বা দিবো কিভাবে? তাহলে তো সবকিছু অনেক জটিল হয়ে গেল। জীবন যাপনই কষ্ট সাধ্য হয়ে যাবে। কারণ বাচ্চারা ছোট থাকতে বাবা-মা না জেনে অনেক কিছু করে ফেলে। বাচ্চারা যখন তার মালিক হয় তখন তার থেকে যদি সব দান করে দেয় তবে তারা তো নিঃস্ব হয়ে যাবে। তখন দেখা যাবে, এক সময় যে মানুষের মাঝে সচ্ছল ভাবে চলতো সে এখন যাকাতের জন্য বা অন্য কোন দান নেয়ার জন্য লাইনে দাড়াচ্ছে। এগুলোর বিষয়ে কি কোন সহজ সমাধান নেই? কারণ জরুরতের কারনে তো এখন মসজিদে সি.সি টিভি লাগাচ্ছে, মাদ্রাসায় পর্যন্ত সি.সি টিভি আছে। এমন আরো বহু বিষয় আছে যা ইসলামে স্পষ্ট হারাম কিন্তু জরুরতের কারণে তা আবার জায়েয ফতোয়া দেয়া হচ্ছে। যেমন আপনি নিজেই একটি প্রশ্নোত্তরে মাজূর সাব্যস্ত হবে বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাহলে এগুলোর ব্যপারে কি কিছু করা যায় না? কারণ আপনি হয়তো ইসলামের আলোকে আমাকে বা অন্যকে সব দান করে দিতে বললেন কিন্তু যে দান করবে তার যদি বাবা এই বাড়ী ছাড়া আর কোন বাড়ী না থাকে তাহলে সে সেটা দান করে দিলে তো পরে ভাড়া থাকতে হবে। তাহলে আপনি মসজিদে সি.সি টিভির ব্যাপারেও এটাই ফয়সালা দিন যে, যে মসজিদে সি.সি টিভি থাকবে সেখানে নামায পড়া যাবে না। তাতে যা হয় হোক যদি মুসল্লী কম হয় হবে। অথবা পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলা যাবে না এমন আরো বহু হুকুম আছে। যা জরুরতের দোহাই দিয়ে জায়েয করা হচ্ছে। আর এগুলোর ব্যাপারে মাজূর হলে এটার ব্যাপারে মাজূর হবে না কেন? বিষয়টি আপনার সাথে শুধু পরামর্শ ও আলোচনার জন্য লিখলাম। অনুগ্রহ করে একটু ভেবে দেখবেন। আর অধমকে খারাপ মনে করবেন না কারণ মনে খটকা আসলে তা কোন আলেমের সাথে আলোচনা করা জরুরী তাই আপনার সাথে বিষয়টি আলোচনা করলাম। মেহেরবানী করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন।

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম
(প্রথমে সাধারণ পাঠকদের জন্য যে প্রশ্নোত্তর থেকে আপত্তিটি তৈরি হয়েছে তার লিঙ্ক দেওয়া হল-
http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=1596)
আপনার প্রশ্নের প্রথম অংশের বচনভঙ্গি ও আক্রমণাত্মক চড়াও বেশ আপত্তিকর। যা হয়তোবা আপনিও সংবরণ করতে পারতেন না। কিন্তু শেষের অংশে আপনি আলহামদুলিল্লাহ্‌ অনেকটা নমনীয়। শেষের দিকে আপনি লিখেছেন, বিষয়টি ভালোভবে বুঝার জন্য আপনি এভাবে লিখেছেন। আবার ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখারও অনুরোধ করেছেন। কিন্তু কোনকিছু বাস্তবেই বুঝার জন্য প্রশ্ন করলে তার মধ্যে মার্জিত ভাব একান্ত কাম্য। আপনার প্রশ্নের এই অংশ “তাহলে আপনি মসজিদে সি.সি টিভির ব্যাপারেও এটাই ফয়সালা দিন যে, যে মসজিদে সি.সি টিভি থাকবে সেখানে নামায পড়া যাবে না। তাতে যা হয় হোক যদি মুসল্লী কম হয় হবে। অথবা পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলা যাবে না এমন আরো বহু হুকুম আছে” রীতিমত হুমকি। এটা কি পরামর্শ বা বুঝতে চাওয়ার কোন স্টাইল? যাই হোক, আপনি মেহেরবানী করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেছেন। সেভাবেই দেখলাম।

আপনার প্রশ্ন দেখে মনে হয় আমি সমস্ত মানুষকে নিঃস্ব করে দিয়েছি, পথের ফকীর বানিয়ে দিয়েছি। আসলে বাস্তবে বিষয়টি উল্টো। আপনার নীতি অনুযায়ী চললে দু-একজন বাদে সবাই নিঃস্ব হবে। বিষয়টি আপনার নিকট একেবারেই স্পষ্ট হয়ে যাবে ইংশাআল্লাহ। অর্জিত হারাম মাল সদকা প্রসঙ্গে আমার প্রদেয় মাসআলার সাথে আপনি দুটি বিষয় তুলনা করেছেন। একটি সি সি ক্যামেরা অন্যটি পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলা। অথচ আপনার তুলনাকৃত দুটি বিষয় আর আমার দেওয়া মাসআলার মাঝে আকাশ পাতালের ব্যবধান রয়েছে। বিষয়টি আপনিও সহজেই বুঝে যাবেন ইংশাআল্লাহ।

আচ্ছা আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, ধরুন আপনার ১ কোটি টাকা রয়েছে। এটাই আপনার সর্বস্ব। এখন এটার পূরোটাই কেউ চুরি করল। অনুরূপভাবে আরো নয় জনের থেকে আরো নয় কোটি টাকা চুরি করল। সে সেই টাকা দিয়ে গাড়ি বাড়ি করল। আর আপনি তো পথের ফকীর। এখন আমি মাসআলা দিলাম ঐ চোরকে যে তোমাকে ১০ কোটি টাকাই সকল মালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে। এখন চোর ঐ টাকা ফিরিয়ে দিলে তো নিঃস্ব হয়ে যাবে। তাহলে এক্ষেত্রে তাকে চুরিকৃত টাকা মালিককে ফিরিয়ে দিতে বলে কি আমি বিশাল অন্যায় করে ফেললাম? তাকে নিঃস্ব করে দিলাম? নাকি ইনসাফের দাঁড়িপাল্লা প্রতিষ্ঠা করলাম? বলি সমাজের দু-চারজন হারামখোরের স্বার্থ নিয়ে আপনি এত ব্যস্ত কেন? আর হাজারো জনসাধারণের স্বার্থের ব্যাপারে আপনি এতটা উদাসীন কেন? যাদের সম্পদ মানুষ সূদ, ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, ধোঁকা, প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে নিচ্ছে। চোরের জন্য আপনার এত দয়া অথচ গৃহকর্তার জন্য আপনার কোন দয়া হয় না?

এবার বুঝুন, অন্যের সম্পদ বা অর্থ আত্মসাতের পর যদি আমরা তা ফিরিয়ে বা (মালিক পাওয়া না গেলে) সদকার ফতোয়া না দিই তবে সমাজের অবস্থা কি দাঁড়াবে? মানুষ সূদ, ঘুষ, চুরি, ডাকাতি করতে কি কোন দ্বিধাবোধ করবে? তাহলে তো উদারতা দেখানোর জন্য বা মানুষকে নিঃস্ব (?) হওয়া থেকে ঠেকানোর জন্য সূদ, ঘুষ, চুরি, ডাকাতি সবই বৈধ বলতে হয়। একেবারে মানবসৃষ্ট খৃষ্ট ধর্মের ন্যায়। যিশু নাকি সমস্ত পাপ একাই মোচন করে গিয়েছেন। এমনিতে এগুলো হারাম বলেও মানুষকে বিরত রাখা যাচ্ছে না। আর হালাল বললে সমাজের অবস্থা কি দাঁড়াবে আপনি আমার দেওয়া মাসআলা না বুঝে থাকলেও সেটা হয়তো ভালোই বুঝে থাকবেন।

মূল মাসআলা হল, যে কোন পন্থায় আপনার নিকট কোন হারাম মাল এসে গেলে তা মূল মালিককে ফিরিয়ে দিতে হবে। সে না থাকলে তার ওয়ারিশগণকে দিতে হবে। তারাও না থাকলে মূল মালিককে ছাওয়াব পৌঁছানোর নিয়তে তা গরীবদের মাঝে সদকাহ করে দিতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَلَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ
অর্থঃ তোমরা পরস্পরে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করো না।–সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৮৮
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
لا يدخل الجنة لحم نبت من سحت
অর্থঃ যে গোস্ত হারাম দ্বারা গঠিত হয়েছে তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না।–তাবারানী, আলমুজামুল কাবীর, হাদীস নং ১১৫৪৪
অন্য হাদীসে রয়েছে-
لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ جَسَدٌ غُذِّيَ بِحَرَامٍ
অর্থঃ ঐ শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না যা হারাম দ্বারা গঠিত হয়েছে।–মুসনাদে আবূ ইয়ালা ১/১১০; মুসনাদে বাযযার, হাদীস নং ৪৩
হাদীসটির সনদ সম্পূর্ণ সহীহ। হাদীসের কিতাবসমূহে এধরনের আরো অসংখ্য রেওয়ায়েত বিদ্যমান।

আর মাসআলাটি আমি নতুন করে দিইনি। বরং ফিকহের সমস্ত কিতাবেই কুরআন ও হাদীসের আলোকে মাসআলটি এভাবেই লিখা হয়েছে। এর বিপরীত কোন কিছু কোন কিতাবেই নেই।

আর হারাম মালের মধ্যে অন্যতম জঘন্য হচ্ছে সূদ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূদ দাতা ও গ্রহীতা উপর তো লানত দিয়েছেনই এমনকি যারা সূদী কারবারের সাক্ষী থাকে এবং যারা সূদী কারবার লেখে তাদের উপরেও অভিসম্পাত করেছেন। আর আল্লাহ তাআলা তো সূদী কারবারে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তার ও তার রাসূলের পক্ষে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। সূদের ভয়াবহতা কত মারাত্মক তা এ আয়াত থেকে খুব স্পষ্ট করে বুঝে আসে। পূরো কুরআনে আল্লাহ তাআলা এই একটি গুনাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। যাই হোক আপনি এতক্ষণে বিষয়টি হয়তোবা ভালভাবেই বুঝেছেন।

এবার আসুন আপনার প্রশ্নের বিভিন্ন অংশ পর্যালোচনা করি-
১। আপনার বক্তব্য “তাহলে তো বর্তমান যামানায় প্রায় সবাই এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। তাহলে তো মোটামুটি সবাই নিঃস্ব হয়ে যাবে”
এর জবাব হল সবাই যদি অন্যের মাল হারাম পন্থায় আত্মসাৎ করে তবে সবাইকেই তা ফিরিয়ে দিতে হবে। এতে সবাই নিঃস্ব হবে কেন? যাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে তারা তো মালদার হবে। আর গুটি কয়েক হারামখোর নিঃস্ব হলে হোক না। সে তো নিঃস্ব হওয়ার-ই উপযুক্ত। তাছাড়া সবাই হারাম পন্থায় উপার্জন করে আপনার এ কথাও সঠিক নয়। তাহলে তো কিয়ামত-ই হয়ে যেত।

২। আপনার বক্তব্য “যেমন আমার আব্বাও অনেক সময় বিভিন্ন সমিতি থেকে টাকা এনেছেন আবার তা পরিশোধও করেছেন। এগুলোর হিসাবই বা করবো কিভাবে? আর এগুলো বাদই বা দিবো কিভাবে? তাহলে তো সবকিছু অনেক জটিল হয়ে গেল। জীবন যাপনই কষ্ট সাধ্য হয়ে যাবে। কারণ বাচ্চারা ছোট থাকতে বাবা-মা না জেনে অনেক কিছু করে ফেলে। বাচ্চারা যখন তার মালিক হয় তখন তার থেকে যদি সব দান করে দেয় তবে তারা তো নিঃস্ব হয়ে যাবে। তখন দেখা যাবে, এক সময় যে মানুষের মাঝে সচ্ছল ভাবে চলতো সে এখন যাকাতের জন্য বা অন্য কোন দান নেয়ার জন্য লাইনে দাড়াচ্ছে”
এর জবাব হচ্ছে সূদ ক্ষেত্রবিশেষে দেওয়া যায় (যেমনিভাবে অপারগতায় শুকর খাওয়া যায়) কিন্তু নেওয়া সর্ববস্থায় হারাম। আপনার আব্বা কোন সমিতি থেকে সূদের ভিত্তিতে টাকা আনলে তা দ্বারা গড়া সম্পদ হারাম হবে না। কেননা তিনি তো সূদ গ্রহন করেননি। হ্যাঁ, বিনা অপারগতায় সূদী কারবারে জড়িয়ে থাকলে তার অনেক বড় গুনাহ হয়েছে।
আর সন্তান পৈতৃক সম্পত্তির ক্ষেত্রে যদি কোন কিছুর ব্যাপারে জানতে পারে যে এটা হারাম পন্থায় তার পিতা উপার্জন করেছে তবে তা সদকাহ করবে। কিছু না জানলে সদকাহ করার প্রয়োজন নেই। কাজেই জটিলতার কিছুই নেই।
আর কোন ফকীর হারামখোর যদি অন্যের সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে ধনী হয় তবে সে তা সদকার দ্বারা নিঃস্ব হবে এটাই তো স্বাভাবিক এবং ইনসাফের কথা।

৩। আপনার বক্তব্য “এগুলোর বিষয়ে কি কোন সহজ সমাধান নেই”?
এর জবাব হল, হ্যাঁ, খুব সুন্দর সমাধান রয়েছে। প্রত্যেককে হারাম উপার্জন বন্ধ করে দিতে হবে। আর করে ফেললে জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য তা সদকাহ করে দিতে হবে।

৪। আপনার বক্তব্য “কারণ জরুরতের কারনে তো এখন মসজিদে সি.সি টিভি লাগাচ্ছে, মাদ্রাসায় পর্যন্ত সি.সি টিভি আছে। এমন আরো বহু বিষয় আছে যা ইসলামে স্পষ্ট হারাম কিন্তু জরুরতের কারণে তা আবার জায়েয ফতোয়া দেয়া হচ্ছে। যেমন আপনি নিজেই একটি প্রশ্নোত্তরে মাজূর সাব্যস্ত হবে বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাহলে এগুলোর ব্যপারে কি কিছু করা যায় না”?
এর জবাব হচ্ছে, একে তো সি সি ক্যামেরায় লাইভ সম্প্রচার উলামায়ে কেরাম অন্য কোন সমস্যা না থাকলে জায়েয বলেছেন। তা আয়না সদৃশ। এর পরেও চুরি বন্ধ করা বা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোন দুষ্কৃতিকারীর অনিষ্ঠ থেকে নিরাপদ থাকা বা কোন অন্য কোন বিশেষ প্রয়োজনে তা লাগানো হয়। ক্ষেত্রবিশেষে তো এর বাস্তবতাও রয়েছে। এটাকে জরুরতের আওতায় আনতে কিন্তু কষ্ট হবে না। আর যদি নাজায়েযও ধরে নিই তবে সেখানে আপনার তো কোন হাত নেই। আপনি তো আর সেটা বসাননি। আর এতে নামাযও নষ্ট বা ক্ষতি হওয়ার কোন কারন নেই। কিন্তু অন্যের মাল আত্মসাৎ করা কি কোন জরুরতের আওতায় আনা যায়? হাজারো জোড়াতালি বা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে একে কি জরুরতের আওতায় আনা যায়? তাহলে আমার দেওয়া মাসআলার সাথে আপনার দেওয়া উদাহরণের দূরেরও কোন সম্পর্ক আছে কি? যে চোর আপনার এক কোটি টাকা চুরি করে আপনাকে নিঃস্ব করেছিল তার চুরিকৃত টাকা জরুরতের কারনে তার জন্য বৈধ বলবেন? না জানি যিনা, হত্যা ইত্যাদিও জরুরতের কারণে বৈধ বলে ফেলেন কিনা? এভাবে তো জরুরতের পাল্লায় পড়ে সব হারাম হালাল হয়ে যাবে। আর কোন হারামই থাকবে না।
পাসপোর্টের বিষয়টিও অনুরূপ।
আর জেনে রাখুন নিজের বাড়িতে থাকা কোন জরুরত নয়। বরং বাড়িতে থাকা তথা মানুষের কোন বাসস্থান থাকাটা জরুরতের মধ্যে পড়ে। আর সেই জরুরত ভাড়া বাড়িতে থাকলেও পূরা হয়ে যায়। আমরা তো ৩৫ বছর ধরে ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছি। আল হামদুলিল্লাহ আমাদের জরুরত তো খুব সুন্দর ভাবেই পূরা হয়ে যাচ্ছে। কাজেই নিজের বাড়িতে থাকা জরুরতের আওতায় এনে অন্যের আত্মসাৎকৃত সম্পদ বা হারাম উপার্জন ভোগ করা জায়েয হবে না।
আপনার হয়তোবা পূরো বিষয়টি ভালোভাবেই বুঝে এসেছে।
আল্লাহ্ তাআলাই সর্ববিষয়ে ভালো জানেন। তার জ্ঞানই পরিপূর্ণ।

Loading