প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। হযরত আশা করি আল্লাহ তা’য়ালার মেহেরবানীতে ভালো আছেন। হযরত আমার একটি ছোট এমদাদীয়া লাইব্রেরীর পকেট হাফেযী কুরআন শরীফ আছে। সাধারণ ভাবে যেটা সব দোকানে পাওয়া যায়। হযরত আমার প্রশ্ন গুলো হচ্ছে- ১। যেহেতু এর উপরে একটি চেন যুক্ত রেকসিনের কভার থাকে যেটা ইচ্ছা করলে সহজে খোলা যায় অর্থাৎ কুরআন শরীফের সাথে আঠা দিয়ে সংযুক্ত করা নয় তাই অযু ছাড়া কভার বন্ধ অবস্থা আমার কুরআন শরীফটি ধরা, পকেট থেকে বের করা বা অন্য জায়গায় থাকলে সেখান থেকে পকেটে নেয়া ইত্যাদি জায়েয হবে কি? ২। আমি অধিকাংশ সময় কোরআন শরীফটি আমার পকেটেই রাখি। যে কোন জায়গায় যেতে সাথে করে নিয়ে যাই। কিন্তু অনেক সময় ভুলবশত মনে না থাকার কারণে মাঝে মধ্যে বাথরুমে গিয়ে বাথরুম করে আসার পরে মনে হয় হায় কি ভুল হলো কোরআন শরীফ সহই বাথরুমে গিয়েছিলাম। এতে কি আমার গুনাহ হবে? যদি প্রশ্ন ব্যতীত এ ব্যাপারে আরো কিছু বলার থাকে তবে জানালে কৃতজ্ঞ হব। জাযাকাল্লাহু খাইর ফিদ দারাইন।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। হ্যাঁ, প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী গিলাফটি কুরআন থেকে অনায়াসে আলাদা করা গেলে তা উযূ ব্যতীত স্পর্শ করা জায়েয হবে।–হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলা মারাকীল ফালাহ, পৃষ্ঠা ৯৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/২ (শামেলা)
২। হ্যাঁ, এমনটি বার বার হতে থাকলে আপনি অনেক বড় গোনাহগার হবেন। আর প্রশ্নের বর্ণনা (“কিন্তু অনেক সময়”) দেখে মনে হয় এটা অনেকটা আপনার নিয়মে পরিনত হয়েছে। তাই ছাওয়াবের আশায় সর্বদা কুরআনে কারীম বহন করে আপনার ছাওয়াবের পরিবর্তে গোনাহের পাল্লাই কিন্তু ভারি হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু এটা সচারচর হয়েই যাচ্ছে তাই আপনার জন্য জরুরী হল যত্রতত্র কুরআনে কারীম বহন না করা এবং অতীতের অসচেতনতার দরুন ঘটে যাওয়া ভুলের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট খালেছভাবে তাওবা করা। আর ভবিষ্যতে একান্ত সাথে কুরআনে কারীম রাখতে চাইলে খুবই অর্থাৎ যার পর নাই সতর্ক থাকবেন যাতে কুরআনে কারীমের কোনরূপ অসন্মান না হয়।–সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৩০৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩২৩