প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১। যারা দাড়ি শেভ করে তাদের কি সালাম দেয়া যাবে? ২। আমি যদি কোন মানুষের কাছে আউট করা প্রশ্ন বিক্রি করি অতঃপর তার কাছে যদি এই মেসেজ (সমগ্র জিবনে আপনার কত যে হক্ব নষ্ট করেছি তার কোন হিসেব নেই, কত অন্যায় আপনার সাথে করেছি তারও কোনো ইয়ত্তা নেই, আমি সামগ্রিকভাবে সকল অপরাধের ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যে, আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন) দিয়ে মাফ চাই তাহলে কি মাফ চাওয়া হবে? ৩। অধিক তাকওয়া অর্জনের উপায় কি?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। এক মুষ্টির নিচে দাড়ি কাটা হারাম এবং তা মহিলাদের সাথে সাদৃশ্যতা অবলম্বন হওয়ায় লানতের কাজ। তাই দাড়ি কাটার দ্বারা মানুষ ফাসেক হয়ে যায়। আর সালাম দেওয়া একটি সন্মানের কাজ। হাদীস শরীফে ফাসেককে সন্মান প্রদর্শন করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই এমন ব্যক্তিকে প্রথমে সালাম দেওয়া মাকরূহ। কিন্তু সে সালাম দিলে তার উত্তর দিতে হবে। তবে শরয়ী কোন উযরের কারনে সালাম দেওয়া যায়। যেমন তাকে সালাম দিয়ে দাওয়াত দিলে হয়তোবা সে সংশোধন হবে তবে সেক্ষেত্রে তাকে সালাম দেওয়া যায়।–শুআবুল ঈমান, হাদীস নং ৪৮৮৬; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪০৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩২৬
২। প্রশ্নে উল্লেখিত বক্তব্য দ্বারা অন্যায়ভাবে কারো টাকাপয়সা আত্মসাৎ করার বিষয়টি স্পষ্ট হয় না। তাছাড়া একথা দ্বারা যে আপনি ফাঁসকৃত প্রশ্নের বিষয়টি উদ্দেশ্য নিচ্ছেন হয়তোবা তাও সে বুঝবে না। কেননা মানুষ লৌকিকতাবশত সাধারণত এধরনের কথা বলেই থাকে। আর আপনিই বা ঐ হারাম টাকা ভোগ করতে চাইছেন কেন?
তাই আপনার কর্তব্য হল ঐ টাকা তাকে ফেরত দেওয়া। তবে সামর্থ্য না থাকলে সেক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে মাফ চাইতে পারেন।–আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৮৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৩২১,৩২২; আল বাহরুর রায়েক ৮/২০২
৩। আল্লাহ ওয়ালাদের সোহবত অবলম্বন করা।–সূরা তাওবা, আয়াত ১১৯