প্রশ্ন : গত রমযান মাসে রোযা অবস্থায় আমি হস্তমৈথুন করে ফেলি। পরে ভাবলাম হস্তমৈথুন করার জন্য তো আমার রোযা ভেঙ্গে গেছে তখন গোসল করার সময় আমি একটু পানি খেয়ে ফেলি। তারপর আর কিছু খাইনি। ৩০ মিনিট পর ইফতার করেছি। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ১/ উক্ত রোযার জন্য কি আমাকে কাফফারা দিতে হবে?। আমি একটি রোযা করে দিয়েছি। তবে কাফফারা দিতে হবে কি? ২/ আর কাফফারা না দিলে কিরূপ গুনাহগার হয়? এটা না দিলে কি পরের বছরের রোজা সমস্যা হয়? আল্লাহ রহমতে আমি অনেক তাকওয়াশীল হয়েছি। ওই রোযার কাফফারা হিসেবে ৬০ রোযাও করে দিতে পারবো। ৩/ যারা রমজান মাসে রোযা থাকে না তাদেরও কি কাফফারা দিতে হয়? নাকি শুধু রোযা থেকে ছেড়ে দিলে কাফফারা দিতে হয়?
উত্তর :১+২। না, আপনার উপর কাফফারাহ ওয়াজিব হয়নি বরং শুধু ক্বাযা ওয়াজিব হয়েছে। আর তা তো আপনি আদায় করে দিয়েছেন। তবে আপনি আল্লাহ তাআলার কাছে খালেছভাবে তাওবা করে নিবেন এবং ভবিষ্যতে এধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবেন।
আর কারো উপর কাফফারা ওয়াজিব হওয়ার পরেও তা আদায় না করা অনেক বড় গুনাহ। যদিও পরের বছর ফরজ রোযা আদায়ে তা প্রভাব ফেলবে না।–রদ্দুল মুহতার ২/৪১১; মারাকিল ফালাহ, পৃষ্ঠা ৬৪৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৬
৩। রোযা রেখে বিনা ওযরে ইচ্ছাকৃতভাবে ভেঙ্গে দিলে কাফফারাহ ওয়াজিব হয়। কেউ রোযা না রাখলে তার উপর কাফফারাহ ওয়াজিব হয় না।–বাদায়েউস সানায়ে ২/২৫৩