প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম ১। তওবা এবং ইস্তেগফার সম্পর্কে বিস্তারিত বললে খুব উপকৃত হতাম। ২। সুদের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তির বাসায় দাওয়াত খাওয়া যাবে কি? ৩। মোবাইলে কুরআনের আয়াত থাকলে নাপাক অবস্থায় ফোন লক কি ধরা যাবে? ৪। রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্বপ্নযোগে দ্বিদার লাভ করার কি কোনো আমল আছে?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের কবীরা সগীরা সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী। তাওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-
এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।
দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা
তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আর ইস্তেগফার হল শুধু মৌখিকভাবে আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করে-
التائب من الذنب كمن لا ذنب له
অর্থঃ গোনাহ থেকে তাওবাকারী ঐ ব্যক্তির ন্যায় যার কোন গোনাহ নেই।–সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৪২৫০
আপনি আরো বিস্তারিত জানার জন্য হাকীম আখতার সাহেবের রচিত আব্দুল মতীন বিন হুসাইন সাহেব অনূদিত হাকীমুল উম্মত প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তাওবা ও ইস্তেগফারের সুফল নামক কিতাবটি দেখতে পারেন।
২। যদি তার অধিকাংশ উপার্জন বৈধ হয় তবে তার বাড়িতে খাওয়া যাবে। তবে যদি এটা জানা যায় যে, তিনি আপনাকে যেটা খাওয়াচ্ছেন সেটা হারাম থেকে সেক্ষেত্রে খাওয়া বৈধ নয়। আবার তার অধিকাংশ ইনকাম হারাম হওয়ার পরেও যদি জানা যায় যে, তিনি আপনাকে যেটা খাওয়াচ্ছেন তা হালাল তবে সেক্ষেত্রে খাওয়া জায়েয।
উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে যদি তার দাওয়াত গ্রহন না করাতে সে সূদ থেকে ফিরে আসে অথবা সূদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় দ্বীনী আত্মমর্যাদাবোধের কারনে তার দাওয়াত গ্রহন না করা হয় তবে তা যে একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।-মাজমাউল আনহুর ২/৫২৯
৩। যাবে, তবে স্ক্রিনে আয়াত ভাসা অবস্থায় বিনা উযূতে স্ক্রিন স্পর্শ করা জায়েয হবে না।- সূরা ওয়াকিয়া, আয়াত ৭৯; মুআত্তা মালেক, হাদীস নং ২৯৬; আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং ১৩২১৭; দারুল উলূম দেওবন্দ, অনলাইন ফাতওয়া নং ১৪৮১১০।
৪। বেশী বেশী দুরূদ শরীফের আমল করতে পারেন এবং সুন্নাতের প্রতি যত্নবান হতে পারেন।