প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, ক) পাপী লোকদের রুহ “সিজ্জীন” নামক স্থানে থাকে, তাহলে কবরে আযাব হবে কি করে ? যেহেতু আজাব তো রূহুতে হবে, দেহে না। খ) হাদীসে আছে যে, সব চাইতে উত্তম জান্নাত হলো- জান্নাতুল ফেরদাউস, কিন্তু নবীরা হলো আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা তা সত্ত্বেও নবীরা “জান্নাতুল আদন” বেহেস্তে যাবে কেন ? আর কোন জান্নাতের অধিবাসীরা আল্লাহ তাআলাকে দেখতে পাবে।
উত্তর :(ক) কবরের আযাব শুধু রূহ বা শরীরে হবে না। বরং আযাবের সময় শরীরে রূহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ফলে দুটোর উপরেই আযাব হবে। এটাই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআর মত, যা একাধিক হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১৩৭৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৩৯৬; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১০৯৯৯; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৭৫৫।
এক্ষেত্রে আপত্তি আসতে পারে অনেক সময় তো মানুষকে বাঘে খেয়ে ফেলে বা পুড়ে যায় বা টুকরো টুকরো হয়ে যায় বা শরীরের কোন অস্তিত্ব থাকে না সেক্ষেত্রে শরীরে আযাব কীভাবে হবে? এর জবাব হল আল্লাহ্ তাআলা কি এমতাবস্থায় তার শরীর ও রূহকে একত্রিত করে আযাব দিতে সক্ষম নন?- তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম ৬/১৯০।
(খ) নবীরা “জান্নাতুল আদন” বেহেস্তে যাবে এটা কোন হাদীসে আছে?
সকল জান্নাতিগনই আল্লাহ্ তাআলার সাক্ষাত পাবে। হাদীস থেকে এমনটিই বুঝে আসে।– সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৫৭৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৬৭,৪৭২-৪৭৪।