প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হযরত আমার প্রশ্নগুলো হল:- ১:সুন্নাত ৪ রাকাআত নামাযে ভুলে সুরা ফালাক,নাস প্রথম দুই রাকাআতে পড়ে নিলে পরের দুই রাকাআতে কোন সূরা পড়বে? ২: ইশরাক,চাশত নামাযের সময় কখন হয়?কত রাকাআত? ফজর পড়ে সূর্য উঠার পর ইশরাক পড়তে চাইলে জায়নামাযে বসে থাকা লাগবে নাকি ফজর শেষে বাসায় চলে গিয়ে পরে আবার সময় হলে ইশরাক পড়া যাবে? ৩:নফল সুন্নাত নামাযগুলো পুরুষের জন্য ঘরে পড়া উত্তম কি?পড়া যাবে?যেমন প্রত্যেক ওয়াক্তের ফরজ নামাযের আগের সুন্নাত নামাযগুলো?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

১।এক্ষেত্রে পরের দুই রাকাআতের প্রতি রাকাআতে সূরা নাস পড়বে। আর এতে নামাযের কোন ক্ষতি হবে না।-আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৪৬ ; আন নাহরুল ফায়েক ১/৩৩৭।৪/১৭৪।

২। সূর্য উদয়ের আনুমানিক ১০ মিনিট পর থেকে ইশরাকের ওয়াক্ত শুরু হয়। দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত ওয়াক্ত বাকি থাকে। তবে শুরুতে পড়া উত্তম। এ নামায সর্বনিম্ন দুই রাকাআত এবং সর্বোচ্চ চার রাকাআত পড়া যায়। ফজরের নামাযের পর সেই স্থানে বসে যিকির-আযকারে মশগুল থেকে সময় হয়ে গেলে ইশরাকের নামায আদায় করলে ছাওয়াব বেশি পাওয়া যায়। বাড়িতে গিয়ে বা কোন দুনিয়াবি কাজে মশগুল হয়েও এ নামায আদায় করা যায় তবে ছাওয়াব কিছুটা কম হয়। এ নামায আদায়ের দ্বারা একটি হজ ও একটি ওমরার ছাওয়াব পাওয়া যায়।

আর চাশতের নামাযের সময় ইশরাকের নামাযের পর থেকে নিয়ে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত থাকে। তবে দিনের এক চতুর্থাংশ পার হবার পর ( মোটামুটি ৯/১০ টায়) এ নামায পড়া উত্তম। এ নামায সর্বনিম্ন দুই রাকাআত এবং সর্বোচ্চ বার রাকাআত পড়া যায়।- সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৫৮৬; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১২৯১; রদ্দুল মুহতার ১/৬৩৯; আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৪৬৫,৪৬৭।

৩। ফরজ ব্যতীত সুন্নাত ও নফল নামায ঘরে পড়া উত্তম। তবে বর্তমানে মানুষের দীনদারির অবস্থা খুবই শোচনীয়। বাসা বাড়িতে একান্তচিত্তে নামায পড়া প্রায়ই অসম্ভব। তাই এমতাবস্থায় মসজিদেই সুন্নাত পড়া উত্তম। -সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৭৩১; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১০৪৬; ইলাউস সুনান ৭/৬৬; রদ্দুল মুহতার ১/৬৩৮।

Loading