প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হযরত আমার প্রশ্ন গুলোঃ ১। কায়দা কি উযূ ছাড়া ধরা যায়? এক আলেম বললো কুরআন ছাড়া আর সব আরবী অজু ছাড়া ধরা যায়, পড়া যায়? আরবী অক্ষর যেমন ২৯ হরফ কি ধরা যায়? ২। কোম্পানি থেকে নামাযের ব্যবস্থা আছে কিন্তু কাছে মসজিদ। এক্ষেত্রে আমি নামায মসজিদে গিয়ে পড়ি। তারা নিষেধ করে। কাউকে আমি যদি অমান্য করে মসজিদে যাই এতে কি অন্যায় হবে? আর বলে রাখি হযরত কোম্পানি থেকে যেই রুম দেওয়া নামাযের জন্য সেখানে নির্দিষ্ট ইমাম নাই? বেআমলী কেউ পড়ে। তাই এখানে ইচ্ছেও জাগেনা! ৩। আমি অফিস চলাকালীন সময় প্রায় সময় টুপি পড়া থাকি? তাসবীহ থাকে বিভিন্ন সময়? আমার ঊর্ধ্বতন কেউ যদি বলে সারাক্ষন টুপি দেওয়া কি? বা কেউ বলে তাসবীহ লাগে না? হাত দিয়ে হয়? এক্ষত্রে কি করবো আমি? আমি এমনি টুপি দিয়ে রাখি! আমার ঊর্ধ্বতন প্রায় কজন আহলে হাদীস অনুসারী? এলোমেলো কথা বলে; আর হযরত যারা বলে তাসবীহ জপা লাগে হাত দিয়ে? তাসবীহ রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম করেনি এদের কি জবাব দিবো?

উত্তর :

ওয়া আলাইকুমুস সালাম

১। তাতে কুরআনের পরিমাণ অন্যান্য অংশের চেয়ে কম হলে উযূ ছাড়া ধরা যায়। আর উক্ত আলেম সঠিক বলেছেন। কুরআন ব্যতীত সবকিছু উযূ ছাড়া স্পর্শ করা যায়।

২। মসজিদেই পড়বেন তবে খেয়াল করবেন যেন অফিসের কাজে কোন ক্ষতি না হয়। নামাযের জন্য দেওয়া নির্ধারিত ছুটির মধ্যেই ফিরে আসবেন।

৩। সবর করবেন। আর হেকমতের সাথে বুঝানোর চেষ্টা করবেন টুপি একটি সার্বক্ষণিক পোশাকের সুন্নত। এটা শুধুমাত্র নামাযের সময়ের জন্য নয়।

আর তাসবীহ দিয়ে যিকির করা জায়েয বরং সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে ছোট কঙ্কর, খেজুরের বিচি দিয়ে গননা করে যিকির করতে দেখে নিষেধ করেননি। বরং ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) তার সুনানে এসব দিয়ে যিকির জায়েয হওয়ার ব্যাপারে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় কায়েম করেছেন।–সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৫০২

Loading