প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, ১। কোরআনে কারীমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বিভিন্ন জায়গাতে মুমিন, ঈমানদার ও মুসলিম বলেছেন তিনটিরই ব্যখ্যা দিলে খুবই উপকৃত হতাম? ২। আর যারা মুনাফিক (হাদীস অনুযায়ী- মিথ্যা বলা, ওয়াদা খেলাফ করা, আমানতের খেয়ানত করা, ঝগড়া লাগলে গালাগালি করা) তাদেরকে কি মুনাফিক ভাবা ঠিক হবে? নাকি মুসলিম বলবো না ইমানদার এবং তাদের প্রতি কি সু-ধারনা রাখা যাবে? ৩। মুসলিম দাবী করে কিন্তু মুনাফিকের উক্ত আলামত আছে কিন্তু তারা নামাযও পড়ে তাকে কি মুসলিম বলা যাবে অথবা সু-ধারনা রাখা যাবে? ৪। যারা নামায পড়ে না তারা কি মুসলিম হতে পারে (আল্লাহর অবাধ্য হয়ে কিভাবে মুসলিম হতে পারে) তাদের প্রতি কি সু-ধারনা করা যাবে (যেহেতু হাদীসে শুধু মুসলিমদের প্রতি সু-ধারনা রাখতে বলা হয়েছে)?
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
১। মুমিন আর ঈমানদার তো একই। মুমিন ও মুসলিমের পার্থক্য নিম্নোক্ত লিঙ্কে আপনি পেয়ে যাবেন-
http://muftihusain.com/ask-me-details/?poId=4557
২+৩। বর্তমানে মুনাফিক বুঝার কোন উপায় নেই। কেননা মুনাফিক হল ঐ ব্যক্তি যে অন্তরে কুফরী গোপন করে বাহ্যিকভাবে ঈমান প্রকাশ করে। কেউ কুফরী প্রকাশ করে ফেললে সে আর মুনাফিক থাকে না। আর কারো মনের অবস্থা বর্তমানে জানার কোন সুযোগ নেই। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহীর মাধ্যমে সে যামানায় মুনাফিকের ব্যাপারে অবহিত হয়েছিলেন।
আর রইল আলামত, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল কেউ মুনাফিক হলে তার মধ্যে উক্ত আলামতগুলো অবশ্যই পাওয়া যাবে। কিন্তু কারো মধ্যে উক্ত আলামত পাওয়া গেলেই সে মুনাফিক হবে না। কাজেই বর্তমানে কাউকে আলামত দেখেই মুনাফিক মনে করা যাবে না। মুমিন অথবা মুসলিম এই দুটোই আমরা কেবল বুঝতে পারি। কেউ বাহ্যিকভাবে ঈমানের সাক্ষ্য দিলে সে মুমিন বা মুসলিম গণ্য হবে অন্যথায় কাফের। আর হাদীস শরীফে মুমিনের ব্যাপারে ভালো ধারনা রাখতে বলা হয়েছে। হ্যাঁ, মুমিন কোন খারাপ কাজ করলে উক্ত খারাপ কাজকে ঘৃণা করতে হবে।
৪। হ্যাঁ, যারা নামায পড়ে না তারাও মুমিন বা মুসলিম। তবে তাদের ঈমানে দুর্বলতা রয়েছে।