মহিলাদের নামাযের পার্থক্য
দাঁড়ানো অবস্থায়
১। তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় হাত কাপড়ের ভিতর হতে বের না করা। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং ১৬৮৬; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৬৬, ৫০৬৭)
২। তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় উভয় হাত বুক বরাবর এমনভাবে উঠানো যাতে হাতের আঙ্গুলগুলো কাঁধ বরাবর হয়ে যায়। (ত্বাবারানী কাবীর ২২/২৭২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা নং ২৪৭১, ২৪৭৩; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৬৬)
৩। ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর স্বাভাবিকভাবে রাখা। ডান হাত দ্বারা গোলাকার বৃত্ত বানিয়ে বাম হাতের কব্জি না ধরা। (রদ্দুল মুহতার ২/২১১ যাকারিয়া; হাশিয়ায়ে ত্বাহতাবী আলা মারাকীল ফালাহ, পৃষ্ঠা ২৫৯)
৪। হাত বুকের উপর বাঁধা। (আস-সিআয়া ২/১৫৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮১)
৫। দাঁড়ানো অবস্থায় হাত যথাসম্ভব শরীরের দিকে চেপে রাখা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৬৭)
রুকু অবস্থায়
১। রুকূতে পুরুষদের তুলনায় কম ঝুঁকা (এতটুকু পরিমান ঝুঁকবে যাতে হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌছে যায়)। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৫৯)
২। উভয় পায়ের গোড়ালী সম্পূর্ন মিলিয়ে রাখা। (রদ্দুল মুহতার ২/২১১)
৩। রুকুতে উভয় বাহু পাজরের সঙ্গে সম্পূর্ন মিলিয়ে রাখা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৬৯; রদ্দুল মুহতার ২/২১১)
৪। রুকুতে উভয় হাতের আঙ্গুল সমূহ পরিপূর্ন মিলিয়ে হাঁটুর উপর স্বাভাবিকভাবে রাখা। পুরুষদের ন্যায় আঙ্গুল ফাঁক করে হাঁটু না ধরা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৬৯; রদ্দুল মুহতার ২/২১১)
সিজদা অবস্থায়
১। কনূইসহ উভয় হাত মাটিতে মিলিয়ে রাখা। পুরুষদের ন্যয় কনূই উঁচু করে না রাখা। (মারাসীলে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮৪; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ৩৩২৫)
২। উভয় রানের সাথে পেট মিলিয়ে রাখা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৬৯, ৫০৭২; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ৩৩২৪)
৩। উভয় হাতের বাহু যথাসম্ভব পাঁজরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৬৯; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা নং ২৭৭৮)
৪। একেবারে জড়সড় ও সংকুচিত হয়ে সিজদা করা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা নং ২৭৮১,২৭৮২; সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ৩৩২৪; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৭১)
৫। সিজদায় ডান দিক দিয়ে উভয় পা বের করে মাটিতে বিছিয়ে রাখা এবং উভয় পায়ের আঙ্গুল সমূহ যথাসম্ভব কিবলামুখী করে রাখা। (সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ৩০১৬, ৩৩২৪; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা নং ২৭৭৭, ২৭৮৩; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৬৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮৩)
৬। এক রানের সাথে আরেক রান যথাসম্ভব মিলিয়ে রাখা। (সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ৩০১৬, ৩৩২৪; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৭১)
৭। নিতম্ব যথাসম্ভব জমিনের সাথা মিলিয়ে রাখা, উঁচু না করা। (মারাসীলে আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮৪; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৬৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা নং ২৭৮২)
বসা অবস্থায়
১। বাম নিতম্বের উপর বসা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং ২৭৮৩,২৭৯২; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৭৪)
২। ডান দিক দিয়ে উভয় পা বের করে দিয়ে কিবলামুখী করে মাটিতে বিছিয়ে রাখা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা নং ২৭৮৩, ২৭৯২; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৭৪, ৫০৭৭; কিতাবুল আসার, ইমাম মুহাম্মাদ, বর্ণনা নং ২১৬)
৩। উভয় রান যাথাসম্ভব মিলিয়ে রাখা। (সুনানে বাইহাক্বী, হাদীস নং ৩৩২৪; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, বর্ণনা নং ৫০৬৯, ৫০৭৭)
৪। বাম পা, ডান রান ও গোছার নিচের রাখা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা নং ২৭৮৩; আওজাযুল মাসালিক ২/১১৮)
৫। বৈঠকে উভয় হাতের আঙ্গুল সমূহ মিলিয়ে হাঁটু বরাবর করে রাখা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা নং ২৭৭৮; রদ্দুল মুহতার ২/২১১ যাকারিয়া)