প্রশ্ন : আমি নিঃসন্তান। আমার স্ত্রীকে আমার সমস্ত সম্পদ হেবা করতে চাই৷ ইসলামের বিধান জানতে চাই? উল্লেখ্য যে, সম্পদের মধ্যে তার নিজের রোজগার করা অর্থও আছে৷
উত্তর :কোন ওয়ারিশকে ঠকানোর নিয়তে কাউকে সম্পদ দেওয়া গোনাহের কাজ। আর ওয়ারিশদেরকে ঠকানোর নিয়তে পূরো সম্পদ কাউকে দেওয়া সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম। এতে আপনি অনেক বড় গোনাহগার হবেন। আর ঠকানোর নিয়ত না থাকলেও ওয়ারিশদেরকে বঞ্চিত করে সমূদয় সম্পদ এভাবে দেওয়া ঠিক নয়। যদিও দিলে এবং তাকে হস্তান্তর করে দিলে তিনি মালিক হয়ে যাবেন।
আসলে এক্ষেত্রে অর্থ এটাই দাড়ায় যে, আল্লাহ্ তাআলা যে বণ্টন পদ্ধতি রেখেছেন তা যথার্থ নয়। আমি যেভাবে করছি এটাই সঠিক ও বাস্তবিক। নাউযুবিল্লাহ। আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন আপনি এটা এজন্যই করতে চাইছেন যে, আপনার ভাই ভাতিজারা হয়তোবা বেশ খানিকটা সম্পদ পেয়ে যাবেন। তাদেরকে বঞ্চিত করা জন্যই মূলত পুরো সম্পদ স্ত্রীকে দিতে চাইছেন। অথচ এমনও হতে পারে (আর অনেকক্ষেত্রে বাস্তবতাও এর সাক্ষী যে) মৃত্যুর পূর্বে অথবা পরে এই ভাইয়েরাই হয়তোবা আপনার কাজে আসবে। এজন্যই আল্লাহ তাআলা মেরাস বণ্টনের মাসআলায় বলেন, কে তোমাদের বেশি উপকারে আসবে তোমরা তা জানো না। কাজেই এটা জায়েয হবে না।
হ্যাঁ, কোন উযরের কারনে (যেমন স্ত্রীর দেখাশোনার কেউ না থাকলে বা সে একেবারেই মাযূর হলে এবং স্বামীর কাউকে ঠকানোর নিয়ত না থাকলে) স্ত্রীকে কিছু সম্পদ দেওয়া যেতে পারে।
–সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ২৮০৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৩৭৪; রদ্দুল মুহতার ৬/৬৫০,৬৫১