প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, হযরত আমি ঐ আলেমের নাম পরে জানতে পেরেছি তিনি অনেক বড় আলেম। তিনি বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছিলেন। নাম: হযরত মাওলানা আবরারুল হক সাহেব (রঃ)। বর্তমানে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। আমার তো তাহলে অনেক বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। আমি নামাযে ভুল হলে তার কথা মত দুটি সিজদা দিতাম ঠিকই কিন্তু পরে আর তাশাহুদ, দুরূদ, দুআ কিছুই না পরে উঠে যেতাম। কারণ তখন তিনি কথাটি স্পষ্ট করে বলেননি আর অনেক লোক থাকায় আমিও তার কাছে প্রশ্ন করতে পারিনি। এখন তাহলে আমার কি করণীয়? এভাবে তো বহু ওয়াক্ত ফরজ, কখনো ওয়াজিব, সুন্নাত বা নফল নামায আদায় করেছি। এগুলোর ব্যপারে কি করণীয়? আল্লাহ আপনার ভালো করুন।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
উপরের প্রশ্নটি মূলত একটি সম্পূরক প্রশ্ন। যা অন্য একটি প্রশ্নোত্তর থেকে তৈরি হয়েছে। প্রথমে সেটি উল্লেখ করলাম।
(প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম একজন আলেম বললেন নামাযের সিজদায়ে সাহু দিতে ভুলে গেলে যদি সিনা পশ্চিম দিক থেকে না ঘুরে, কোন দুনিয়াবি কথা না বলা হয় এবং সালাম ফিরানোর সাথে সাথেই বা সামান্য পরে মনে হয় যে সাহুসেজদা দিতে হবে তবে নাকি দুইটি সিজদা সাধারণ সেজদার মত দিলেই হবে। * তার কথা কতটুকু সত্য? * যদি তার শেখানো নিয়মে সেজদা দেই তবে দুই সেজদা দেয়ার পর কি করবো? আত্যাহিয়াতু, দুরুদ, দোয়ায়ে মাসুরা পড়বো নাকি সাধারণ ভাবে দুনিয়াবী কাজ শুরু করবো? * নিয়মটি সঠিক ভাবে জানালে উপকৃত হব। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
উত্তরঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম
হ্যাঁ, উক্ত আলেম ঠিকই বলেছেন। উভয় পাশে সালাম ফিরানোর পরেও যদি নামায পরিপন্থী কোন কিছু না করে থাকে এবং সিজদায়ে সাহুর কথা মনে পড়ে তবে দুটি সিজদাহ দিয়ে তাশাহহুদ, দুরুদ শরীফ ও দুআয়ে মাছূরাহ পড়ে সালাম ফিরিয়ে যথানিয়মে নামায শেষ করবে।–আল বাহরুর রায়েক ২/১৯৬; হাশিয়ায়ে তাহতাবী, পৃষ্ঠা ৪৭৩)
মূল উত্তরঃ যে সকল ফরজ ও ওয়াজিব নামাযে এমনটি হয়েছে সেগুলো পুনরায় দোহরিয়ে নিবেন। স্মরণ না হলে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে ক্বাযা করে নিবেন।–রদ্দুল মুহতার ১/৪৫৬; ফাতওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ ৪/২৭২