প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম হযরত আমার প্রশ্ন গুলো হলো:- ১/মৃত ব্যক্তির জন্য ছাওয়াব পাঠানোর উত্তম আমল কি কি আছে? আমাদের দেশে যে রমযানে বিশেষ কুরআন খতম দেওয়া হয় আলেমদেরকে দিয়ে টাকার বিনিময়ে? বা খাওয়ানো এই পদ্ধতি গুলো কি ঠিক? ২/মৃত্যুর কয়দিন পর খাওয়ানো বা চল্লিশা করা কি জায়েয? জায়েয না হলে মৃত ব্যক্তিকে ছাওয়াব পৌঁছনোর উদ্দেশ্যে খাওয়ানোর সহীহ পদ্ধতি কেমন হবে? ৩/মৃত ব্যক্তির জানাযায় এবং দাফনে কতটুকু বিলম্ব করা উত্তম? ৪/মসজিদে প্রবেশ করে কি সালাম দেওয়া যায়? কেউ কাউকে সালাম দিলো।
উত্তর :ওয়া আলাইকুমুস সালাম
(১+২) মৃত ব্যক্তিকে সাওয়াব পৌঁছনোর উদ্দেশ্যে যে কোন নফল আমল(নামায, রোযা, তাসবীহ, তিলাওয়াত ইত্যাদি) করে তা বখশে দেওয়া যায়। টাকার বিনিময়ে কুরআন খতম করে বখশে দিলে মৃত ব্যক্তি তো দুরের কথা খোদ তিলাওয়াতকারীই কোন ছাওয়াব পায় না।
আর মৃত্যুর তিন দিন বা চল্লিশ দিন পর অথবা অন্য কোন দিন নির্ধারণ করে যে জিয়াফতের ব্যবস্থা করা হয় তাও বিদআত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা সাহাবায়ে কেরাম থেকে এর কোন নযীর নেই। বরং হাদীস শরীফে মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে খাওয়ার জন্য একত্রিত হওয়ার ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। যদি মৃত ব্যক্তিকে ছাওয়াব পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয় তবে তিন দিন, চল্লিশ দিন এভাবে কোন দিনক্ষণ নির্ধারণ করবে না। বরং যখন তৌফীক হয় শুধু গরীব মানুষকে খাওয়াবে। এ খাবারের উপযুক্ত কেবল গরীব মানুষ। গড়ে সকলকে খাওয়াবে না।-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৬৯০৫; রদ্দুল মুহতার ৬/৫৬; বাযযাযিয়া ৫/৩৯; ইমদাদুল আহকাম ১৮৯-১৯৩।
(৩) যত দ্রুত সম্ভব কাফন-দাফন সম্পন্ন করবে।–সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১৩১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২২৯; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৬৬৬; আল বাহরুর রায়েক ২/৩৩৫।
(৪) যদি সকলে ইবাদতে মাশগুল থাকে তবে না দেওয়া চাই। অন্যথায় কেউ ফারেগ থাকলে এভাবে সালাম দেওয়া যেন কারো ইবাদতে কোন বিঘ্ন না ঘটে।