১। যথাসম্ভব একাকী সফর করা থেকে বিরত থাকা। কমপক্ষে দু’জন সফর করা। তিন জন একসাথে সফর করা উত্তম। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ২৯৯৮; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ২৬০৯)
২। সফর সঙ্গীদের মধ্য থেকে একজনকে আমীর বানিয়ে নেওয়া। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং ১৬২৩; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ২৬১১)
৩। বৃহস্পতিবার সফরে বের হওয়া। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারনত বৃহস্পতি বার সফরে বের হতেন এবং উক্ত দিনে বের হওয়া পছন্দ করতেন। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ২৯৪৯, ২৯৫০; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ২৬০৭)
৪। দিনের শুরুতে সফরে বের হওয়া। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ২৬০৮; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ১২১২)
৫। বাড়ী থেকে এই দুআ পড়ে বের হওয়া-
بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ
(সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং ৮২২; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৩৪২৬)
৬। পরিবার থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এই দুআ পড়া-
أسْتَوْدِعُكَ الله الَّذِي لا تَضِيعُ وَدَائِعُهُ
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ২৮২৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ৯২৩০)
৭। সফরে কোথাও অবস্থানের প্রয়োজন হলে এমনভাবে অবস্থান করা যাতে মানুষের চলাফেরা ইত্যাদিতে ব্যাঘাত না ঘটে। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৬২২৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৭৭৪)
৮। উপরের দিকে উঠার সময় আল্লাহু আকবার বলা। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ২৯৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১৪৫৬৮)
৯। নীচের দিকে নামার সময় সুবহানাল্লাহ বলা। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ২৯৯৩; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং ২৫৬২)
১০। দূর হতে গন্তব্যস্থান দৃষ্টিগোচর হলে এই দুআ তিনবার পড়া-
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهَا
অতঃপর প্রবেশ কালে এই দুআ পড়া-
اللَّهُمَّ ارْزُقْنَا جَنَاهَا ، وَحَبِّبْنَا إِلَى أَهْلِهَا ، وَحَبِّبْ صَالِحِي أَهْلِهَا إِلَيْنَا
(আল মু’জামুল আউসাত, ত্বাবারানী, হাদীস নং ৪৭৫৫)
১১। সফরে কুকুর ও খুঙুর সাথে না রাখা। এগুলোর কারনে রহমতের ফেরেশতা সাথে থাকেন না। ফলে বরকত চলে যায়। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৬৬৮; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ১৭০৩)
১২। সফর অবস্থায় কোথাও অবস্থান করলে এই দুআ পড়া-
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
হাদীস শরীফে আছে এই দুআ পড়লে ঐ স্থান ত্যাগ করার পূর্বে কোন কিছু তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭০৫৩; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৩৪৩৭)
১৩। অযথা সফরকে দীর্ঘ না করা। প্রয়োজন পূরা হলেই ফিরে আসা। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৩০০১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫০৭০)
১৪। সফর হতে ফিরে নিজ এলাকা দেখা দিলে এবং প্রবেশকালে এই দুআ পড়া-
آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ
(সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৩০৮৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৩৪৫)
১৫। সফর শেষে নিজ এলাকায় ফিরে বাড়ী প্রবেশের পূর্বে দু’রাকাআত নামায পড়া। (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭১৯২; সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ৭৩০)
১৬। দীর্ঘ দিনের সফর থেকে ফিরে হঠাৎ করে বাড়িতে প্রবেশ না করা। বরং মসজিদে প্রবেশ করে দু’রাকাআত নামায পড়ে বাড়িতে সংবাদ পৌঁছিয়ে অতঃপর প্রবেশ করা। এজন্য আগে থেকে ফোনেও জানানো যেতে পারে। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৫০৭৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১৪২৪৮)
১৭। সফর হতে দিনের বেলায় বাড়ী ফেরা। গভীর রাতে বাড়ীতে প্রবেশ না করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটি অপছন্দ করতেন। তবে আগে থেকে জানানো থাকলে বা ঘরওয়ালারা অপেক্ষায় থাকলে এমন সময় প্রবেশ করতে কোন অসুবিধা নেই। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ৫২৪৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫০৭১; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ২৭৭৮, ২৭৭৯, ২৭৮০)
১৮। সফরে দুআর এহতেমাম করা। কেননা সফর অবস্থায় দুআ কবূল হয়। (সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৫৩৮; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৩৪৪৮)
১৯। মহিলাদের জন্য মাহরাম ব্যতীত একাকী সফর না করা। (সহীহুল বুখারী, হাদীস নং ১০৮৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৩২৭)

Loading